1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মৌলভীবাজারে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত  গাইবান্ধায় প্রিপেইড মিটার নিয়ে নেসকোর একগুঁয়েমির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ মৌলভীবাজারে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতা গাজী মারুফের জানাজা সম্পন্ন  গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল নারী নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেপ্তার ‎গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কম্বল পেলেন ৩শ দুস্থ অসহায় মানুষ বিএনপি  যোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নড়াইলে কর্মী সভা গাইবান্ধায় মাদক বিরোধী প্রমিলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আখ চাষিরা গুড় তৈরিতে ব্যস্ত মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সদস্য  মারুফ’র মৃত্যুতে মহাসচিব এর শোকবার্তা

সরকারি খাস জমিতে দোকানঘর নির্মাণ, নির্বিকার বাঁশখালী পৌর কর্তৃপক্ষ!

শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩
  • ১৩৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক সরকারি খাস জায়গায় দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বাঁশখালী প্রধানসড়ক সংলগ্ন উপজেলার জলদী মিয়ার বাজার চৌধুরী মার্কেটের সামনেই পৌর কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এসব দোকান নির্মাণ করেছেন হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট এর যুগ্ম মোতাওয়াল্লী দাবীকারী শেখ মুঈনদ্দিন চৌধুরী।
স্থানীয় ও চৌধুরী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান,জলদী মিয়ার বাজার চৌধুরী নিউ মার্কেটের সামনে খাস খতিয়ানের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রাতে অন্ধকারে দোকান ঘর নির্মাণ করেন। তারা আরো বলেন- মিয়ার বাজারের ঐতিহ্যবাহী হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করে লুটপাট করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ওনি। তার একক গায়ের জোরে যা মন চায় তা করে বর্তমানে মসজিদটার কোন সংস্থার না করে মসজিদের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করে লুটেপুটে খাচ্ছে। এই মার্কেটের সামনে থাকা খাস জায়গা দখল করে সে প্রতিবারই দোকান নির্মাণ করে চলছে। মার্কেটের সামনে খাস খতিয়ান ভুক্ত গাড়ির পার্কিং এর জায়গায় রাতের আঁধারে প্রভাব কাটিয়ে জোর পূর্বক বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণ করে যাচ্ছে মুঈনুদ্দিন চৌধুরী।
মিয়ার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল আলম বলেন,এই খাস জায়গাটিতে গতবছরও এখানে বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছিলো। আমরা বাঁধা দিয়েছিলাম,কিন্তু সে গায়ের জোরে এসব দোকান নির্মাণ করে চলছে। কারো কোন বাঁধা মানছে না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রোজিয়া সোলতানা রোজি এবং একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসহাক বলেন, জায়গাটি সরকারি খাসভুক্ত। খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গায় কোন ধরনের পৌর কতৃপক্ষের অনুমতি বিহীন রাতের অন্ধকারে মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা এই এলাকার কাউন্সিলর। আমাদের জানা মতে মার্কেটের সামনে এসব জায়গা সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত। উক্ত জায়গার উপর আমাদের জানামতে হাইকোর্টে মামলা চলমান আছে। মামলা চলাকালীন সময়ে সে আদালত কে অমান্য করে রাতের অন্ধকারে মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে পৌর মেয়র এবং স্থানীয় প্রশাসন কে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট এর যুগ্ম মোতাওয়াল্লী দাবী কারী অভিযুক্ত শেখ মুঈনুদ্দিন চৌধুরীর সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার অপর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের ১নম্বর যুগ্ম মোতাওয়াল্লী বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট এর আমি ১ নম্বর মোতাওয়াল্লী অথচ সে উক্ত ওয়াকফ এস্টেটের অনুমতি না নিয়ে গায়ের জোরে কিছু সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে মার্কেটের সামনে থাকা পার্কিং এর জায়গায় বেশকয়েকটি দোকান নির্মাণ কাজ করতেছে। সে শুধু এটা নয়, হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট এর পরিচালনাধীন প্রায় ৩-৪ শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মিয়ার বাজার জামে মসজিদ ও চৌধুরী মার্কেটের কোটি টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। যার কোন ওয়াকফ এস্টেটের লিখিত কোন অনুমতি নাই। কোন আয়-ব্যয় এর হিসাব নাই। নিজের একক স্বেচ্ছাসারীতায় যা মন চায় তা করে যাচ্ছে। অন্য দিকে ওয়াকফ এস্টেটের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের মামলা চলমান রয়েছে। অথচ সে আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের সমস্ত জায়গা এবং মার্কেটের সবকিছু লুটপাট করে খাচ্ছে। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও সে অবৈধ পন্থায় অনুমোদন বিহীন এসব দোকান নির্মাণ করছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান, খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গায় দোকান নির্মাণের বিষয়ে আমাকে কেউ অবিহিত করেনি। খোঁজ নিয়ে দেখতেছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, সরকারি কোনো নিয়মনীতির বাইরে কোনো কাজ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ যদি জোরপূর্বক সরকারি জায়গায় দোকান নির্মান করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel