বেসিক ব্যাংক রাজশাহী আমচত্বর শাখার একজন কর্মকর্তা তাসনুভা ফেরদৌস (ক্যাশ অফিসার) ও তার স্বামী মো: গোলাম জাকিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা ও ব্যাংকের চেক বই জালিয়াতির ও মারামারি অভিযোগে তাসনুভা ফেরদৌস ও জাকিরকে রাজপাড়া থানা আটক করেন।
ঐ ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রায় ৭৯ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তুলে শনিবার (৪ মার্চ-২০২৩) নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নারী মায়া বেগম।
ভুক্তভোগী ঐ নারীর বাসা নগরীর বালিয়া পুকুর এলাকায়। আর অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকির তারা নগরীর রাজপাড়া থানাধীন দাশপুকুর এলাকায় বসবাস করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মায়া বেগম লিখিত এক বক্তব্যে বলেন, অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা তাসনুভার সাথে তার পরিচয় হয় বেশ কয়েক বছর আগে।
অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী মায়া বেগমের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এবং পরবর্তী সময়ে মায়া বেগমকে তারা ধর্ম মা হিসেবে সবার কাছে প্রচার করতে থাকেন। সম্পর্ক গভীর হবার এক পর্যায়ে তাসনুভা ও তার স্বামী জাকির বিভিন্ন সময় নানা টালবাহানায় মোটা অংকের অর্থ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন।
ব্যাংকে নেওয়া হাউজ ব্লিডিং লোনের কিস্তি পরিশোধসহ অন্যান্য দেনা পাওনা ও প্রয়োজন কথা বলেও মায়া বেগমের কাছ থেকে ক্রমান্বয়ে নানা কৌশলে তারা টাকা নিতে থাকেন। আজ দেবো কাল দেবো বলে দীর্ঘ সময় ক্সেপন করার প্রেক্ষিতে মায়া বেগমের সন্দেহ হয় তাদের উপর। তাই মায়া বেগম গত বছর ৬ অক্টোবর একশ টাকার তিনটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি কর্জনামা সম্পাদন করেন।
ধার করা অর্থ ফেরত দেবার নামে তাসনুভা ও তার স্বামী জাকির মায়া বেগমকে আশ্বস্ত করার নিমিত্তে বলেন, আমাদের বাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে আপনার সমস্ত টাকা ফেরত দিয়ে দেবো। তার কয়েক মাস পরে মায়া বেগম অভিযুক্ত তাসনুভার বাড়িটি দশ লাখ টাকা নগদ দিয়ে লক্ষীপুর মৌজার ৭ নং আরএস খতিয়ানের ৪৬২/৯-১/২০২১-২০২২ তারিখে খারিজ কেসের আদেশ বলে প্রস্তাাবদ ৭০৭৩ খতিয়ানের .০৩১৬ একর সম্পত্তি তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে পাওনাদার মায়া বেগমের কাছে বায়নানামা করে দেন।
মায়া বেগম বলে তাসনুভা ফেরদৌস আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে আপোষ মিমাংসার করবে বলে, আমাকে টিকাপাড়া মিরেরচর মসজিদের সামনে মৃত কফিল উদ্দিনের মুরগীর খামারের সামনে ডাকলে আমি ও আমার স্বামী উক্ত স্থানে যাওয়া মাত্রই গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হাতে চাইনিজ,ধারালো চাকু, বড়, লোহার পাইপ ইত্যাদি অস্ত্র দিয়ে আমার মাথার উপর আঘাত করেন। পরে অঙ্গান হয়ে পরি, এলাকা বাসি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।১৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করি,যার পেনাল কোড ৩২৩/৩২৫/৪২৭/৩৪.
তাসনুভা ফেরদৌস ও স্বামী গোলাম জাকির নামে চেক জালিয়াতি, প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা নং:-২৪৩/২০২৩(বোয়ালিয়া) ধারা-The Negatiable Instrument Act1881এর -১৩৮ধারা। সি আর মামলা নং-২৪৩/২০২৩(বোয়ালিয়া) ধারা-৪০৬/৪২০দ:বি:.
মামলা নং:-৫৪৪সি/২০২৩(বোয়ালিয়া) ধারা নং- ৪১৯(২)সি/২০২৩(বোয়ালিয়া), ধারা-৪০৬/৪২০
মায়া ও শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেক নির্যাতন হয়েছি।তাসনুভা ফেরদৌস ও গোলাম জাকির অনেকের সাথে জালিয়াতি ও প্রতারণা করেছে। মায়া বলেন, আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে আমি সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ জাতীয় আরো খবর ....