বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড এলাকার উত্তর জলদী ভাদালিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। জরাজীর্ণ ব্রীজটি ভেঙ্গে গেলেও সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার লোকজন। ব্রীজের গোড়া থেকে সরে গেছে মাটিও। হেলে পড়া এ ব্রীজে কোন রকম জোড়াতালির বাঁশ-গাছ দিয়ে পার হচ্ছে জনসাধারণ। বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে ধর্ণা দিয়েও সংস্কারের মুখ দেখেনি এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, উপজেলার পৌরসভাস্থ উত্তর জলদী ভাদালিয়া ও দক্ষিণ ভাদালিয়ার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ব্রীজটি। ভাদালিয়া, মিনজিরতলা ও খালাইস্যার দোকান সহ অন্যান্য এলাকার হাজারো লোকজনের যাতায়তের মাধ্যম ব্রীজটি দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সংস্কারবীহিন পড়ে থাকলেও পৌর কতৃপক্ষের নজরে পড়েনি। সম্প্রতি কিছু ভারী যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টির কারণে ব্রীজটির উভয় পার্শ্বের মাটি সরে যায়। যার দরুণ লোকজনের হাঁটাচলাফেরা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। অনেকসময় ক্ষুদ্র যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে পড়েছে খাদে। এ ব্রীজে নিত্য দূর্ঘটনায় পড়ছে সাধারণ যানবাহন ও পথচারী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় অটোরিকশা, সিএনজি, ভারী যানবাহনসহ কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারছেনা। যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। এলাকার নারী পুরুষ, শিশু, বয়স্কদের চলাফেরায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রীজটি যে কোন সময় ভেঙ্গে গিয়ে এলাকার লোকজনদের সাথে উপজেলা সদরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশংকা রয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এ’গ্রেডের পৌরসভা পেয়েছি। নির্বাচন আসলে অনেক কথা দেয়। উন্নয়নের বানী শোনায়। কিন্তু উন্নয়নে পিছিয়ে আছি অনেকদূর। দীর্ঘ দেড় যুগের বেশী সময় ধরে ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কতৃপক্ষ। এলাকার ৫ থেকে ৬ হাজার লোকজনের চলাচলের এ ব্রীজটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান তারা।’ তারা বলেন ‘আমরা ভাদালিয়াবাসী অতিদ্রুত ব্রীজটি সংস্কার কিংবা পুনঃনির্মাণের জন্য মেয়র মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাঁশখালী পৌর মেয়র এডভোকেট তোফাইল বিন হোসাইনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনছুর আলী বলেন, ‘এ ব্রীজের সংস্কার বিষয় নিয়ে মেয়রকে অবহিত করা হয়েছে। ভাদালিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বললেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার পৌর মেয়রকে সরেজমিনে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি ব্রীজের বেহাল অবস্থা দেখেছেন। ব্রীজটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।