নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (আরবী) মুস্তাহিদ আল আমিনের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরীর অভিযোগ উঠেছে। তিনি
৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪০ টাকা সরকারি বেতন ভাতা ভোগ করেছেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী সচিব মো. সেলিম শিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর যাচাই বাছাই করে সারাদেশে ৬৭৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর জাল সনদ শনাক্ত করেছে।তার মধ্যে নড়াইলের সদর উপজেলার দেবভোগ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ( আরবি) মুস্তাহিদ আল আমিন এক জন।তিনি নিয়োগের পর থেকে অবৈধ ভাবে বেতন ভাতা ভোগ করেছেন বলে উলেখ করা হয়েছে চিঠিতে।চিঠিতে আরো জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধান জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে মামলা করতে। জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনা থাকা সর্তে ও প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষকের পক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কোন রকম ব্যবস্থা না নিয়ে তার সহযোগিতার করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, মুস্তাফিজের নিয়োগের সময় আমরা বলেছিলাম বির্তকিত এই শিক্ষককে চাকরী না দেওয়ার জন্য। কিন্তু তৎকালীন সভাপতি অরুন বাবু ও প্রধান শিক্ষক গোপাল বিশ্বাস তার নিকট হতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে জামত বিএনপির এই শিক্ষককে নিয়োগ দেন। আমরা কোন বির্তকিত শিক্ষককে স্কুলে দেখতে চাই না। আমরা এই নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার দাবি করি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মুস্তাফিজ আল আমিন জানান, আমার সার্টিফিকেট সঠিক আছে। আমার কিছুই হবে না।
এ বিষয়ে দেবভোগ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের সনদ সঠিক আছে। মন্ত্রণালয় ভূল করেছে। চিঠিতে যে রোল দেখানো হয়েছে সেই রোল নং অভিযুক্ত শিক্ষকের না। ফলে ওটা ঠিক করা যাবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বলেন, নড়াইলে জাল সনদধারী শিক্ষকদের অফিস আদেশ এখনো পাইনি। আদেশের পর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।