১৮ মে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়াত এডুকেশন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের আওতায় নিরাময় অযোগ্য রোগীদের প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ আউটডোর সেবার আওতায় এই সেবা প্রদান করা হবে। বহি:বিভাগ সেবার পাশাপাশি রেফারেল সার্ভিসের আওতায় গৃহ:সেবা বা হোম কেয়ার এবং উন্নত বা জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগে রেফার করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা. আ.ফ.ম. মুশিউর রহমান, সিভিল সার্জন, নারায়ণগঞ্জ এবং সভাপতিত্ব করেন ডা. বেলায়েত হুসেইন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, নারায়ণগঞ্জ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন বলেন, “বহি:বিভাগ সেবা এবং গৃহসেবার পাশাপাশি বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ২ বেডের একটি প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট থাকা প্রয়োজন, যাতে জরুরী দরকার হলে নিরাময় অযোগ্য রোগীকে ভর্তি রেখে সেবা প্রদান করা যায়”।
উল্লেখ, তিন বছর মেয়াদী এই পাইলট প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য-সেবায় প্যালিয়েটিভ কেয়ার সংযুক্তিকরন। নিরাময় অযোগ্য, জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জীবনের প্রান্তিক সময়টুকু ভোগান্তি বিহীন, যন্ত্রনা বিহীন, বেদনা বিহীন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে চিকিৎসা সেবার যে জ্ঞান তাই প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্যালিয়েটিভ সেবা নামে পরিচিত। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ বিভাগের লাইন ডাইরেক্টর প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য “বাংলাদেশের প্যালিয়েটিভ কেয়ার ফ্লাগশিপ প্রোগ্রাম” বলে চিহ্নিত করেছেন।
অসংক্রামক রোগ বিভাগ (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন-এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আয়াত এডুকেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ডওয়াইড হসপিস প্যালিয়েটিভ কেয়ার এলায়েন্স (WHPCA), এবং ওয়ার্ল্ড হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার এলায়েন্স এবং সেন্ট ক্রিস্টোফার হসপিস এর যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।