সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে চোখ বেঁধে নির্যাতন ও মামলায় ভয় দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই এসআই হলেন, আবুল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম শহিদ। বুধবার সকালে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় এসআই আবুল হোসেন ও এসআই শহিদুল ইসলাম শহিদ দুইজন কনস্টেবলকে সাথে নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লাভলু ইসলামের দোকানে যায়।
সেখানে স্থানীয় প্রায় ৪০-৫০ জন লোকের উপস্থিতিতে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী লাভলুর দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে কোন কিছু না পেয়ে লাভলুকে হাতকড়া পড়িয়ে একডালা বাজার থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মহিষামুড়া বাজারের মহিলা মাদ্রাসার পেছনে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। লাভলুর কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরেও তার চোখ বেঁধে আরো ৩০ হাজার টাকার দাবি করেন ওই দুই এসআই। পরে লাভলু রতনকান্দি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ওসমান গনি ও আব্দুস সাত্তারকে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন।
ফোনের সূত্র ধরে রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে আরো ১০ হাজার টাকা দিয়ে লাভলুকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় সোমবার সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।