র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানাধীন পাকুড়িয়া এলাকার ভিকটিম মোঃ শাহিন গাজী ইসলামী ব্যাংকে এজেন্ট শাখার একজন কর্মকর্তা ছিলেন। গত ০৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ ভিকটিমের চাচী মোছাঃ শাহানারা খাতুনকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি মোঃ আমিনুর সরদারসহ অন্যান্য আসামীরা এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করলে ভিকটিম মোঃ শাহিন গাজী তার চাচীকে আসামীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেন। তখন আসামী আমিনুর সরদার ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ভিকটিমের মাথায় ও পায়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। ভিকটিম গত ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। এ বিষয় ভিকটিমের চাচা মোঃ ইমন গাজী বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেন। ঘটনার পর থেকেই আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আসামীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করতে থাকে। উক্ত মামলার আসামীদের গ্রেফতারে দাবিতে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে আসামী মোঃ আমিনুর সরদার ঢাকা থেকে পালিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে গমন করছে। পথিমধ্যে টাইঙ্গাইল জেলা পৌছলে ০৭ মে ২০২৩ তারিখ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী মোঃ আমিনুর সরদার (৫০), থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।