নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের বিছালী গ্রামীন জনপদে গড়ে উঠা” মেসার্স ডন ব্রিকস- -১ ” ইট ভাটার ইট ও মাটি বহন কারী ট্রাকের চলাচলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ট্রাক ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলে ক্ষতি হচ্ছে গ্রামীন সড়কের। ধূলা বালিতে স্কুলে যেতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। ভারী এই যান চলাচলে মেঠো রাস্তাগুলো চলাচলো অনুপযোগী হয়ে গেছে। অধিকাংশ ড্রাইভার তাদের লাইসেন্স ছাড়াই এই যানবাহনে ড্রাইভিং করছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। সম্প্রতি রুন্দিয়া গ্রামের একটি দূর্ঘটা ঘটেছে। স্থানীয় দের চাপে কোন রকম দায়সারা ক্ষতি পূরন দিয়ে দেদারসে চলছে এই যানবাহন। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে এই ইট ভাটা। যার ফলে একাধিকবার অভিযোগ করে ও কোন সুরাহ হয়নি।
বিছালী তিন রাস্তার মোড়ের অমিত শেখ জানান,ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর ফলে ব্যাপক ভাবে ফসলী জমির ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে ফসলী জমি কেটে তার টপ-সয়েল নষ্ট করা হচ্ছে।বীরদর্পে ফসলী জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়।
স্থানীয়রা একাধিক বার ইট ভাটা ও বন্ধের জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করেছেন। পরিবেশ বিধংশী এই ভাটা কার্যক্রম কোন রকম ভাবে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
স্কুল পড়ুয়া শারমিন বলেন, স্কুলে যাতায়াত ধূলাবালিতে আমাদের মূখ বন্ধ করা যেতে হয়। অনেকের শ্বাস- কষ্ট হয়। গাড়ির প্রচন্ড শব্দ আমাদের রাস্তা চলাচলে ভয় করে।
ট্রাক ড্রাইভার জাহাঙ্গীর বলেন, আমি ট্রাক চালাই কিন্তু লাইসেন্স নাই। গাড়ি চলাচলে রাস্তায় ক্ষতি হচ্ছে।
এবিষয়ে ইট ভাটার ম্যানেজার কমলেশ বলেন, ইট ভর্তি গাড়ও চলাচল করে। ফলে রাস্তার ক্ষতি হয় তবে অন্যদের গাড়ি ও রাস্তা দিয়ে চলে। আর দুই একটি দূর্ঘটনা ঘটে সেটি স্থানীয় ভাবে সমাধান হয়ে যায়।