র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আসামী রাজীব হাসান চৌধুরী @রিপন চৌধুরী যশোরের একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত। সে গত ২০১৪ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বোমা ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনসাধারণের মারাত্মক ক্ষতিসাধনসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করে। তার বিরুদ্ধে ১৩টি বিস্ফোরক তৎসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা, ০১টি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা, ০২টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাসহ ০২ টি হত্যা চেষ্টার মত ঘৃণ্য অপরাধের মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন যাবত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পলাতক ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-৬ (যশোর ক্যাম্প) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং উক্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ডিএমপি ঢাকার লালবাগ থানা এলাকায় আসামী রাজীব হাসান চৌধুরী (৪৫) আত্মগোপনে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ০৬ মে ২০২৩ তারিখ ভোরে ডিএমপি ঢাকার লালবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রাজীব হাসান চৌধুরী @রিপন চৌধুরী(৪৫), থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-যশোরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ২০১৪ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যশোরের বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করেছে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।