রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) দুর্গাপুর জোনাল অফিসের বিলিং সহকারি নাসরিন সুলতানা (৪২) মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, নিহত নাসরিন সুলতানার স্বামী আবু তালেবকে (৫০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে।
নিহত নাসরিন সুলতানা পবিসের দুর্গাপুর জোনাল অফিসের বিলিং সহকারি পদে চাকরী করেন। অপরদিকে তাঁর স্বামী আবু তালেব দুর্গাপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের তাছের খতিবের ছেলে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর আহত নাসরিন সুলতানাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক স্বজনকে দেখে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন নাসরিন সুলতানা ও তাঁর স্বামী আবু তালেব। নগরীর বিনোদপুর এলাকায় ঢাকা মহাখালী থেকে ছেড়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একতা ট্রাভেলস এর একটি বাস তাঁদেরকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন নাসরিন সুলতানা।
এ সময় নাসরিন সুলতানার স্বামী আবু তালেব মারাত্মক আহত হলে তাকেও উদ্ধার করে রামেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বর্তমানে তাকে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পবিসের দুর্গাপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাইদুর রহমান জানান, রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক স্বজনকে দেখে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন নাসরিন সুলতানা ও তাঁর স্বামী। বিনোদপুর বিসিএসআইআর সামনে একতা বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নাসরিন সুলতানা মৃত্যুবরণ করেন।
তবে স্থানীয়রা আবু তালেবকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। বতসানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাঁর অবস্থা আশংকাজনক।