রাজশাহীর হড়গ্রাম মডেল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজের ‘অধ্যক্ষ মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে’ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ’ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, হড়গ্রাম মডেল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজের ব্যাংকিং বিষয়ের শিক্ষিকার নিকটাত্মীয় ওই কলেজের অধ্যক্ষ মারুফ হোসেন। সেই সম্পর্কের সুবাদে অধ্যক্ষ ওই শিক্ষিকার বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। এর একপর্যায়ে গত ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিক্ষিকাকে একা পেয়ে অধ্যক্ষ মারুফ হোসেন জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এব্যাপারে মূখ খুললে চাকুরি থাকবে না বলে ভয়ভীতি দেখানো হয় ওই শিক্ষিকাকে। ওই ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ও চাকরি হারানোর ভয় দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত বছর ধরে অধ্যক্ষ মারুফ হোসেন কলেজের বিভিন্ন কাজের বাহানা দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামের কথা বলে ওই শিক্ষিকাকে ঢাকার ফার্মগেটসংলগ্ন ‘হোটেল সুপার স্টার’, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‘হোটেল আল নাহিদ’, আগারগাঁও ঢাকা নির্বাচন অফিসসংলগ্ন ‘বোর্ড রেস্ট হাউস’, ঢাকার ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী হোস্টেল’ এবং শ্যামলী বড় স্টেডিয়ামসংলগ্ন ‘স্যাপ বাংলাদেশ গেস্ট হাউসসহ বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
সম্প্রতি ওই শিক্ষিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে অধ্যক্ষ মারুফ হোসেন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কৈফিয়ত তলব করেন। এ ছাড়া ওই শিক্ষিকাকে মানসিক চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এক শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকেই অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।