মুন্সিগন্জ সদরের চর আধারা,বাংলা বাজার ও মোহনপুর ইউনিয়নের প্রায় ২ কিঃ মিঃ নদীপথ আধাঁরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ বাচ্চু মেম্বারের নেতৃত্বে দখলে নিয়ে বাঁশ দিয়ে আটকে নদীর মাঝে জাল ফেলে জাটকা নিধন করছেন চক্রটি।জাটকা ধরাই যেখানে নিষিদ্ধ, সেখানে নদীপথে বাঁশের বেড়া দিয়ে জাল ফেলে রাত-দিন ২৪ ঘন্টাই চলছে জাটকা ধরার কাজ।তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ বা স্হানীয় প্রশাসনের কোন বাঁধার সম্মুখীন না হয়ে বীরদর্পে জাটকা নিধন চালিয়ে আসছেন।স্হানীয় ইয়াজউদ্দিন, জামাল,ছামছুদ্দিন, খলিল মিয়া, বাবলু,রাছেল, ও বাচ্চু মেম্বারের ছেলে রিপন মিলে গড়ে তুলেছে নিষিদ্ধ জাটকা নিধন সিন্ডিকেট। দৈনিক গড়ে ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার জাটকা আটক করছেন বাচ্চু মেম্বার চক্রটি।প্রতি টানে ২৫ থেকে ৩০ ড্রাম জাটকা ইলিশ উত্তোলন করা হচ্ছে।১ ড্রাম জাটকা প্রায় ১৮০ থেকে ২২০ কেজি।২৫ ড্রাম জাটকা পাঁচ হাজার কেজি ইলিশের পোনা। মেঘনা নদীর চরের মধ্যবর্তী জলমহালে আড়াআড়িভাবে ভারি বাঁশ পুঁতার পর বাঁশের গায়ে জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। আর এ জাল ঘেরার মাঝেমধ্যে তৈরি করে রাখা হয়েছে জাটকা আটকের বড় বড় ফাঁদজাল। পদ্মা নদীর মৎস্য প্রজাতি চলাচলের কোনো পথ না পেয়ে ঘুরে-ফিরে আটকা পড়ছে আড়াআড়ি বাঁধের জালের ফাঁদে। প্রতিটি বাঁধ প্রায় দেড় কি.মি.জলাশয় জুড়ে দু’টি বাঁধ মিলে মোট প্রায় ২ কি.মি.জলশয় জুড়ে বাঁধ দিয়ে জাটকা ইলিশ নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছেন বাচ্চু মেম্বার চক্রটি।রিপনের নেতৃত্বে অনান্যরা বাঁধের বাঁশ পুতা, উঠানো বা সম্প্রসারন কাজে এবং বাঁশঘেরা জালের ছেঁড়া ফাটা ত্রুটি মেরামত কাজে সব সময় ব্যস্ত রয়েছেন। এক ঘণ্টা পর পর ডিঙি নৌকায় বসে দু’জন জেলে ফাঁদ জালের দু’পাশে বসে টেনে উঠাচ্ছেন এবং জাটকা ইলিশগুলো ফোমের তৈরী বাক্সে সংরক্ষণ করে চলেছেছেন।পদ্মা মেঘনা হতে আসা অনান্য প্রজাতির মাছও আটক হচ্ছে তাদের পাতা ফাঁদজালে।১০ আনি গাঙ্গের অপর পাশ দিয়ে একটি ডানে আরেকটি গাঙ্গ দিয়ে সোজা দক্ষিনে গিয়ে পদ্মার সাথে মিশেছে।ফাঁদজালের খোতি ভাটার সময় মেঘনা ও জোয়ারে পদ্মা দিকে রাখা হয়।এতে করে কোন প্রজাতির মাছেরই ফাঁদজালে আটক ছাড়া, পার পাওয়ার সুযোগ থাকেনা।এ ব্যপারে আধারা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মোঃ বাচ্চু র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি আমি সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করছি তাছাড়া আমি একা নয় আমার অনেক পার্টনার রয়েছে। এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা মৎস কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলে এটি আমার এরিয়ার বাইরে তবে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য প্রমাণ পেলে অবশ্যয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ব্যাবস্থা নিবে। এই বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি আমি এই প্রথম জানলাম আমরা তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।