কুলাউড়া থানা পুলিশের অভিযানে ১৩টি চোরাই মোবাইল ফোন, ১টি মনিটর ও নগদ টাকাসহ কামরুল হাসান (১৯) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। সে কুলাউড়া উপজেলার ৫নং ব্রাহ্মণবাজার ইউপি আদমপুর গ্রামের তৈমুছ মিয়া ওরফে বাঘা‘র পুত্র। কুলাউড়া থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৯ মার্চ)দিবাগত রাত ৩টায় কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারস্থ শিপার চৌধুরী ম্যানশন মার্কেটের জনৈক শাহিন মিয়ার মালিকানাধীন “মা টেলিকম” দোকানের শাটারের ৪টি তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন মডেলের ১৩টি মোবাইল ফোন, ১টি কম্পিউটার মনিটর, নগদ ২হাজার ২শ টাকাসহ সর্বমোট এক লাখ এক হাজার আটশত পাঁচ টাকার মালামাল চুরি হয়। এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এসআই/মোহাম্মদ আমির উদ্দিনসহ কুলাউড়া থানার একটি চৌকস টিমসহ চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রকে গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারে অভিযানে নামেন।
চুরির রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী দোকানের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িত কামরুল হাসান নামে একজনকে শনাক্ত করে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার থেকে কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করে। পরে আটককৃত কামরুলের দেখানো মতে ব্রাহ্মণবাজার পশু হাটের পেছনের ময়লার স্তুপ থেকে দোকানের মালিক শাহিন মিয়ার শনাক্তমতে চোরাইকৃত একটি Oppo A53 মোবাইল জব্দ করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চোরাইকৃত বাকী মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের মনিটর আটককৃত কামরুল তার বসত ঘরে রেখেছে বলে জানায়। পরবর্তীতে আটককৃত কামরুল হাসানকে সাথে নিয়ে তার বসত ঘরের পেছনের লাকড়ির রুমে তল্লাশি করে খড়ের ভেতর থেকে চোরাইকৃত বিভিন্ন মডেলের ১২টি মোবাইল ফোন, ১টি কম্পিউটার মনিটর, নগদ ২হাজার,২শ টাকা ও চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত লোহার শাবল, হাতুড়ি, কাঠে সংযুক্ত লোহা কাটার ব্লেড এবং পরনের কাপড়-চোপড় জব্দ করা হয়। আটককৃত কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় মামলা করে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর ....