চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্ব পালেগ্রামস্থ পালেগ্রাম হাকিম মিঞা শাহ্ (রহ) সিনিয়র মাদরাসার হেফজখানার এক ছাত্রকে ধর্ষণ (বলৎকার) করার ঘটনায় মাদরাসাটির হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. জাহাঙ্গির আলম (২৬) এর বিরোদ্ধে ৯(১), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩;এ জোরপূর্বক ধর্ষণ (বলৎকার) করার অপরাধে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ৪৪/১১৫। ওই শিশু ছাত্রের (১০) মাতা মোছাম্মৎ তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে শনিবার রাতে (ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক (ধর্ষণ) বলৎকারের মামলা করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক হাফেজ মো. জাহাঙ্গির আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মিনজিরিতলা দলি বাড়ির ফরিদ আহমদের পুত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ দিবাগত রাত খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে ওই ছাত্রকে মাদরাসার শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম রাত ১টার সময় ঘুম থেকে ডেকে তার শোবার ঘরে নিয়ে যায়। এরপর তার ইচ্ছার বিরোদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ওই হাফেজি হুজুর। অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রচন্ড ব্যথা সহ্য করতে না পেরে কান্নাকাটি করলে তার সহপাঠি মো. নাঈম উদ্দিন কারণ জানতে চাইলে ঘটনার বিষয়ে তাকে অবহিত করে। সর্বশেষ ২৩ মার্চ রমজান উপলক্ষে মাদরাসায় ছুটি হলে তার মা তাকে নিয়ে আসতে গেলে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে ওই শিশু। বাড়িতে নিয়ে আসলে ওই শিশু তার হাফেজি শিক্ষকের জোরপূর্বক ধর্ষণের (বলৎকার) কথা স্বীকার করেন।
ছেলেটির মা তানিয়া আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করার পর সে বলে গত দু’মাস ধরে আমার ছেলেকে মাদরাসার হোস্টেলে ভাল করে ঘুমাতে দেয়নি ওই পাষণ্ড শিক্ষক জাহাঙ্গির। সে প্রতিনিয়ত আমার ছেলেকে শারীরিক নির্যাতন করেছে। আমাদের অভিযোগের পর বাঁশখালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, মাদরাসা ছাত্রকে বলৎকারের ঘটনায় ওই ছাত্রের মা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করে আজ রোববার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।