র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভিকটিম ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকার ০৪ বছর বয়সী নাবালিকা শিশু। গত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে ভিকটিমের মা ০৪ বছরের শিশু কন্যাসহ আরো দুই শিশু সন্তান বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফএর চাউল আনতে যায়। একই দিন দুপুরে আসামী ফজলু ভিকটিম ০৪ বছরের শিশু কন্যাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পার্শ্বের মাল্টা বাগানে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাড়িতে এসে ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে জিজ্ঞাসা করিলে ভিকটিম ঘটনাটি তার মায়ের নিকট বলে। এই সংক্রান্তে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় আসামীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন৷ ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষককারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। ঘটনার পর থেকে আসামী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চাঞ্চল্যকর ০৪ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানাধীন কাজিরবের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী- মোঃ ফজলু(৪৫), থানা-মহেশপুর, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় হস্তান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন।