রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার অন্তরগত শ্যামপুর বালুঘাটে বালু ব্যবসায় স্থান না পাওয়ায় গুটি কয়েক লোকের নানা রকম ষড়যন্ত্র। বালু ঘাটের সকল বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা তাদেরকেই দ্বায়ী করছেন ।
স্থানীয়রা বলেন, পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভার দেওয়ানপাড়া মোড় থেকে শ্যামপুর বালু ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করণ করেন, সাবেক মেয়র আব্বাস আলী। তার আমলেই শুরু হয় রাস্তার পার্শ্বের ড্রেন নির্মান। এছাড়াও চৌদ্দপাই টু শ্যামপুর বালুঘাট পযন্ত ভারি যান চলা-চলের জন্য তৈরি হচ্ছে রাস্তা ও ড্রেন নির্মান। কিছু দিনের মধ্যে রাস্তাটি চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হবে।
অপর দিকে: দেওয়ানপাড়া টু শ্যামপুর বালুঘাট রাস্তাটি কর্তৃপক্ষ কিছুদিন পর পর সংস্কার করে দেন। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার খানেক ট্রাক, ট্রাক্কর ও অটো রিক্সা চলা-চল করে।
বাংলাদেশ সরকার পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুমহাল থেকে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেন। যাহা সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে। এ ঘাটে স্থানীয়দের রয়েছে হাজার খানেক ট্রাক। প্রতিটি ট্রাকে লাগে একজন ড্রাইভার একজন হেলপার ও তিনজন শ্রমিক এতে দেখা যায়, একটি ট্রাকেই পাঁচজন লোক জীবিকা নির্বাহ করেন। সুতারং ১০০০ ট্রাকে ৫০০০ লোক জীবিকা নির্বাহ করেন। আবার বালুঘাট কে কেন্দ্রো করে রাস্তার দু’ধারে গড়ে উঠেছে শতাধীক দোকান। বয়বৃদ্ধ ও মহিলারা নিজ নিজ বাড়ির পার্শ্বে করেছেন দোকান। বাড়িতে দোকান হওয়ায়, তাদের সহযোগিতা করেন, ছেলে, ছেলের বৌ, মেয়ে, নাতি পুতিরা।
গুনিজন নাগরিকরা বলেন, বিগত দিনে বালু মহাল থেকে সরকার কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব পেতেন। কাটাখালি পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর আমলে এসে সর্বোচ্চ মূল্যে ইজারা হয় প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। এ সময় গুটি কয়েক ব্যক্তি এ ব্যাবসায় আসার চেস্টা করে ব্যর্থ হোন। তারাই এখন এ ঘাটটি বন্ধ করার চেস্টা চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার বলেন, স্থানীয় গুটি কয়েক ব্যাক্তি বালু মহালে শেয়ার নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। তারা কয়েক জনই হই হই, রই রই করে বেড়াচ্ছে। এখানে বালু থাকায় আমরা জলের দামে বালু কিনতে পারি। দুর দুরন্ত থেকে বালু আনতে হলে অনেক টাকা ব্যয় হতো আবার সময়ও বেশী লাগতো। এঘাটে বালু ব্যবসা কে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার লোক সচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করছে। এ ঘাটের উপর নির্ভর করে অনেকে ট্রাক কিনেছে ঘাটটি বন্ধ হয়ে গেলে তারা কোথায় যাবো। কাজেই সরকারের উচিৎ হবে কারো কথাই কান না দিয়ে ঘাট চালু রাখা।
দেওয়ানপাড়া মোড় থেকে শ্যামপুর বালুঘাট পর্যন্ত রাস্তার পার্শ্বের বসবাস কারীরা কাছে কুলে বালু পেয়ে নাম মাত্র দামে বালু কিনে তারা বহুতল ভবন নির্মান করেছেন। ট্রাক চলাচলের কারণে সেটি সম্ভব হয়েছে। স্বার্থপরদের হুমকির বিষয়টি এলাকার মানুষের নিকট স্পষ্ট হয়েছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক অফিস থেকে স্বচ্চ ভাবে ইজারা দেওয়া হয় বালু মহাল। টেন্ডারের পর স্থানীয় প্রশাসন সার্বক্ষনিক নজর দারিতে রাখেন। যেন সেখানে কোন প্রকার অনিয়ম করা না হয়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো নিয়ম মেনে বালু উত্তোলন করে থাকেন। বালু উত্তোলনের বিষয় নিয়ে কোন প্রকার অভিযোগ নাই পবা উপজেলার শ্যামপুর বালু ঘাটের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলেন, বালুমহাল চালু থাকায় আমরা বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন যাপন করছি। হটাৎকরেই যদি বালুর গাড়ি গুলো এই রাস্তায় নামতে না দেয় তাহলে আমাদের গাড়ি গুলো কোথায় চালাবো। এছাড়া অনেকের গাড়ি লোনে ক্রয় করা তারা কিভাবে লোন পরিশোধ করবে। বালুর গাড়ি দিয়েতো আর লাঙল বোয়ানো যাবো না।
একটি সূত্র বলছে এই ঘাট ও রাস্তা বন্ধ করার জন্য গুটি কয়েক ব্যক্তি ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে তারা বালু মহালের কারিগর। তাদের পকেটে দুই দিক থেকেই মুনাফা আসতো। তারা এই কাটাখালি অঞ্চলের বেপরোয়া সুবিধা বাদি জিন্দাবাদ। এবার তারা হাট-ঘাট থেকে ছিটকে পড়ে দিশাহারা হয়ে নানা কথা লটাচ্ছে।
এ ঘাটের গাড়ির এক মালিক এনায়েত উল্লাহ বলেন, এঘাটের গাড়ি গুলো বৈধ সরকারি রেজিস্ট্রেশন ভূক্ত সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। অবৈধ গাড়ি কাকে বলে এটি যদি তারা জানতো তাহলে তারা কোন দিন গাড়ির বরাত দিয়ে লিখতো না। আবার বলে ড্রামগাড়ি দিয়ে বালু বহনের বিষয়টি আইনগত ভাবে অবৈধ। এতই যদি আইন বিষয়ে ধারনা থাকে তাহলে তারা কোটে যাক। দেখে আসুক তারা বৈধ না আমদের গাড়ি গুলো বৈধ।