নড়াইলে সারের কোন সংকট নেই । আক্রোশ মূলোক ভাবে হয়রানী ও জেলার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেতে একটি মহলের অপপ্রচার চালাচ্ছে । তদন্ত করলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এ ভাবেই এ প্রতিবেদককে বলেন নড়াইলের বিশিষ্ট সার ব্যাবসায়ী অলোক কুন্ডু। সম্প্রতি সারের একটি ট্রাক জব্দ হওয়ায় নানাবিধ আলোচনা সমালোচনা চলছে শহরের ওলি গলিতে। জব্দকৃত সারের বিষয়টি জানতে গেলে এভাবে সাংবাদিকের বলেন অলোক কুন্ডু । তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সারের সংকট নেই । পর্যাপ্ত সার রয়েছে জেলায়। সার কালোবাজারি করার ও কোন সুযোগ নেই। এ ধরনের অপপ্রচার করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস করছে একটি চক্র।
যানাগেছে,গত সোমবার ২৭ ফ্রেবুয়ারী সন্ধ্যায় শহরের রূপগঞ্জ এলাকায় টি এসপি সার ভর্তি একটি ট্রাক গতিরোধ করা হয়। ট্রাক চালকের বাড়ি যশোরের ঝিকর গাছায় হওয়ায় সঠিক ভাবে সার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারে না। কথাবার্তার এক পর্যায়ে উৎসুক জনতাদের ভিড় জমতে থাকে ৷ ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়। উপস্থিত জনতা সন্দেহ করে সদর থানার ওসি মাহামুদুর রহমানকে জানান। ওসি চালক মিজানুরের সাথে কথা বলে সার ব্যবসায়ী অলোক কুন্ডু কে ডেকে আনেন। এরই মধ্যে অলোক কুন্ডুর মার্কেটে এসে উপস্থিত হয় শতাধিক লোক। সকলে ট্রাকে থাকা সারের বিষয়টি জানতে চায়। সাথে সাথে উপস্থিত হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম কামরুজ্জামান পি পি এম। এর পর সারের প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রাটের হস্তক্ষেপ ট্রাক জব্দ করে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়। এ দিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে একটি দতন্ত ডিম গঠন করা হয়। এঘটনায় জেলা শহরে সরগরম অবস্থা।
অলোক কুন্ডু বলেন, আমি শুধু মাত্র ট্রাকটি ভাড়া দিয়েছে । সন্দেহ মূলোক ভাবে ট্রাক আটক করা হয়েছে। প্রকৃত কাগজ পত্র চাচাই করলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে। আমাকে আক্রোশমূলোক ভাবে হয়রানী করার জন্য অপপ্রচার করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার রোকনুজ্জামান বলেন, সারের ট্রাক জব্দ করার কথা শুনে সাথে সাথে গঠনা স্থালে আমি এসেছি। এ বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর ....