ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষা, শান্তি প্রগতির ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব ঐতিহ্য সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে কেক কাটার, আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে শহরের এস এস রোডস্থ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে একটি বিশাল আনন্দ র্যাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ তালুকদার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সজল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সরদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিনড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তার বলেন, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি এ সংগঠনটির জন্ম হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।,
বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।,
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা একরামুল হক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীগণ। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্যাপক আয়োজনের মধ্যে কেক কাটা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর ....