উত্তরাঞ্চলে শীতের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে শিশুদের ডায়রিয়া, নিমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগ। গত ১ সপ্তাহে উল্লাপাড়ায় বিশেষতঃ রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় অন্ততঃ ১শ রোগী উল্লাপাড়ার ৩০ শয্যা হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অন্ততঃ ৭০ জন ডায়রিয়া ও নিমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু। রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়ে পড়ছে বলে বলছেন ডাক্তারগণ।
উল্লাপাড়া স্বাস্থ কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় শিশু রোগী আরাফার মা কোহিনুর খাতুনের সঙ্গে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার ছেলেকে তিনি ৩০ ডিসেম্বর রাতে ভর্তি করেছেন। ছেলেটির অবস্থা খুবই খারাপ, চিকিৎসা দিচ্ছেন ডাক্তারা। ১ সপ্তাহ হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে। এমন কথা জানালেন আরো কয়েকজন আক্রান্ত শিশুর মা।
৩০ শয্যা হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় চিকিৎসা নিতে আসা শিশু জাইয়ানের মা নুরজাহানের সঙ্গে। তিনি জানান, তার ছেলেকে তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হবার পর ২৮ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তার চিকিৎসা চলছে। তবে এখনও পুরো সুস্থ হয়নি তার সন্তান। অপর শিশু তাওহিদের মা আনোয়ারা খাতুন বললেন, তার সন্তান একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাকে ১ সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।,
উল্লাপাড়া ৩০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সামিউল ইসলাম রনি জানান, ১ সপ্তাহে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় এই হাসপাতালে ১শ জন ভর্তি হয়। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮০ জন। ২০জন রোগী এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রোটা ভাইরাস ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা ১ সপ্তাহের আগে সুস্থ হচ্ছে না।,
উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আতাউল গণি ওসমানি জানান, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা প্রতিদিন ডায়রিয়া, নিমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে তার হাসপাতালে আসছেন। বিশেষ করে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিমোনিয়া আক্রান্ত অন্ততঃ ৭০ জন রোগী তার হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছে। যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর ....