নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ফকিরের বিরুদ্ধে রাস্তার সরকারি ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। যানাগেছে, ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গা গ্রামের একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। রাস্তাটি আগে থেকেই ইট দ্বারা নির্মিত ছিল।রাস্তার বেহাল অবস্থা হওয়ায় সংস্কারের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার হয়েছে। টেন্টারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সুচতুর ইউপি চেয়ারম্যান রাস্তার সকল ইট তুলে বিক্রি করছেন। আর এই বিক্রির কাজে সার্বিক ভাবে সহায়তা করছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমান। মানসম্মত ইট গুলো গ্রামের বাসিন্দারা কিনে নিচ্ছেন। সেই সাথে ইটের ভাঙ্গা অংশ বিক্রি করছেন পার্শবর্তী বাজারের স্যানেটারী ব্যবসায়ী সবুজের নিকট। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সবুজ তার দোকানে রাস্তার ইট স্তুপ করে রেখে দিয়েছেন।
ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে রাস্তার ইট বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ইউনিয়নের সবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তার সরকারি ইট উত্তোলন করে বিক্রি করা এটা সঠিক নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।
ইট ক্রয়কারী স্যানেটারী ব্যাবসায়ী সবুজ বলেন, আমি ইট কিনেছি চেয়ারম্যানের নিকট হতে । আপনারা যা কিছু জানার চেয়ারম্যানের নিকট জানেন
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ইমান বলেন, আমরা মাত্র ৬ হাজার ইট বিক্রি করেছি৷ আর সব চেয়ারম্যান জানেন।
বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ফকির বলেন, কিছু ইট বিক্রি করা হয়েছে। ইট বিক্রি করে রাস্তার শ্রমিকদের টাক দেওয়া হবে। বাকি ইট গুলো এলাকায় রাস্তা সংস্কার করা হবে। এ সব বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অবগত আছেন। নিউজ করলে আমার কিছু হবে না।
নড়াইল সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, ইট বিক্রি করছে চেয়ারম্যান এটা আমার জানা নেই। যদি সরকারি ইট উত্তোলন করে বিক্রি করা হয় তা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর ....