ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক
রোবায়েত ফেরদৌস বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষে পানি ঢাললে গণতন্ত্র ও
উন্নয়ন ধ্বংস হয়ে যাবে। সাম্প্রদায়িকতা যে কোন আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার
অগ্রগতির পথে সবথেকে বড় অন্তরায়। সে কারণে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বিজ্ঞান
মনস্কতার কোন বিকল্প নেই। পরিবার থেকেই রাষ্ট্র সর্বক্ষেত্রে মানবিকতা ও
সততার চর্চা অত্যন্ত জরুরী। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি
অধ্যাপক রোবায়েত সাতক্ষীরায় সংগঠনের জেলা সম্মেলনের উদ্বোধনও করেন জাতীয়
পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।
সাতক্ষীরায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন সংগঠনের
আহবায়ক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ,
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিএমএ’র সভাপতি ডা: বাহারুল আলম. কেন্দ্রীয়
সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক
সম্পাদক কারশেদ আলম।
বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী
লীগের সহ সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক
অধ্যাপক আনিসুর রহিম, দৈনিক পত্রদূত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভিন
সেঁজুতি, আ’লীগ নেতা নাজমুন নাহার মুন্নী, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক
জোসনা দত্ত, প্রভাষক হেদায়েতুল ইসলাম, সাংবাদিক দীপক শেঠ, বীর
মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আশেক মেহেদী, দীপংকর সাহা, মিলন
বিশ্বাস রুদ্র, দীপংকর মন্ডল, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভার পূর্বে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ বলেন, সম্মিলিত সামাজিক
আন্দোলন বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল নয়। কোন নির্বাচনের জন্য
সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনও করবে না। তবে সামাজিক সংগঠন হিসেবে দেশের মৌলিক
যে রাজনৈতিক আদর্শ তা থেকে বিচ্যুত হলে সংগ্রাম করবে। বাহাত্তরের সংবিধান
ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করবে। সমাজে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামী জাগরণ
সৃষ্টি করবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেলে শরীফুল্লাহ কায়সার সুমনকে সভাপতি ও
রাশেদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা কমিটি
ঘোষণা করা হয়।