মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসনের সম্পূর্ণ তত্বাবধানে ইংরেজী ভার্সনে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছে।
রবিবার (১লা জানুয়ারী) দুপুরে কেক কেটে স্কুলের শুভ যাত্রা ও হাতে খড়ি পাঠদানের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদ আখতার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহিনা আক্তার ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও সিনিয়র সহকারী কমিশনারবৃন্দ, অবিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। এসময় নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ও অবিভাবকদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বই বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী।
মৌলভীবাজার কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ করতে প্রথমে আগ্রহী হন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। তিনি ডিসি পার্কের পরিত্যক্ত জায়গায় ও বিল্ডিংকে সংস্কার করে স্কুলটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে তাড়াতাড়ি সেটা বাস্তবায়িত করে তুলেন। স্কুল জাতীয় কারিকুলামের ইংরেজী ভার্সনে সরাসরি জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে পরিচালিত হবে। নির্দিষ্ঠ সময়ের পূর্বে ডিসি পার্কের জায়গায় অবকাঠামো তৈরী না হওয়ায় মৌলভীবাজারের বিদ্যুৎ ভবনের বিপরীতে একটি ভাড়া বাসায় সেটি চালু করার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে স্কুলটি ৩নং ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ ভবনের সামনে রেহানা টাওয়ারে চালু করা হয়েছে। পরে সেটি নিজস্ব ভবন পূর্বতন ডিসি পার্ক, বনশ্রী আবাসিক এলাকা পিটিআই রোডে পরিচালিত হবে।
বর্তমানে ১ম শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি চলমান রয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি শুরু হয়, চলবে পুরো জানুয়ারী মাস জুড়ে। জানুয়ারী মাসের ১০ তারিখ থেকে পূর্ণাঙ্গ ক্লাস শুরু হবে। ক্লাস প্রতিদিন সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে চলবে ১টা পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ক্লাসেও ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ও ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ জাহিদ আখতার বলেন, বছরের শুরুতেই বই উৎসবের মাধ্যমে স্কুলটি যাত্রা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, জেলার মধ্যে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কুলটিকে গড়ে তুলতে তারা আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাবেন। তিনি তাঁদের স্কুলে ছাত্র/ছাত্রীদের ভর্তি করারও আবেদন জানান।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ডিসি পার্কটি অযত্নে-অবহেলায় পড়েছিল, এমনকি জায়গাটি বেহাত হওয়ারও উপক্রম হয়েছিল। তাই তিনি সকলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সেখানে স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, হয়তো তিনি এজেলা থেকে বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যাবেন, কিন্তু একটি ভাল প্রতিষ্ঠান বা ভাল কাজ করলে লোকজন আজীবন তাঁকে মনে রাখবে। এচিন্তা থেকেই মূলত কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজটি গড়ে তুলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন অস্থায়ী কাম্পাসে স্কুলটি চালু করতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছেন। খুব শীঘ্রই স্কুলটি তার নিজস্ব জায়গায় চলে যাবে। তিনি জেলাবাসীর প্রতি আবেদন জানান, তাদের বাচ্ছাদের কালেক্টরেট স্কুলে ভর্তি করে স্কুলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সর্বাত্মক সহযোগীতা করবেন। তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগীতা করায় স্থানীয় এমপি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পৌর মেয়রসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞ বলেও জানান।
এ জাতীয় আরো খবর ....