রাজশাহীর তানোরে পারিবারিক কলোহের জেরে নিজ ঘরের তীরের সাথে গলাই উড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছেন ২ সন্তানের জননী আদিবাসী গৃহবধু প্রতীমা রানী (২৭)।এঘটনায় ওই গৃহবধুর পিতা সুচীন মাহালী বাদি হয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মৃতের স্বামী প্রদীপ টুডু (৩০) কে আসামী করে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এঘটনায় পুলিশ মৃতের লাঁশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং মৃতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলার বিবরণ জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে তারা সবাই এক সাথে রাতের খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন।
হঠাৎ রাত সাড়ে ১২ টার দিকে স্বামী প্রদীপ টুডুর ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতে পান তার স্ত্রী প্রতীমা রানী ঘরের তীরের সাথে গলাই উড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। এসময় তার স্বামী প্রদীপ টুডু লাঁশ নামিয়ে দেখেন তার স্ত্রী প্রতীমা রানী মারা গেছেন। এসময় গ্রামবাসীসহ মৃতের পরিবারকে খবর দেয়া হয়। পর দিন বৃহস্প্রতিবার সকালে তানোর থানা পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ লাঁশ উদ্ধার করেন এবং মৃতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন থেকে নানা বিধ অভাব অনটনের কারনে তাদের মধ্যে প্রায় দ্বন্দ বিবাদ লেগেই থাকতো এবং তার স্বামী তাকে প্রায় আত্নহত্যার প্ররোচনা দিয়ে আসছিলো। তিনি বলেন, মৃতের পিতার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃতকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।