আতঙ্ক সৃষ্টি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারে মরিয়া সোহাগ বাহিনীর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। আশুলিয়ায় সন্ত্রাসী সোহাগ বাহিনী ফের সক্রিয়
হয়ে উঠেছে।
ফরহাদ আহম্মেদ সোহাগ (২৯) দক্ষিণ বাইপাইল চাড়ালপাড়ার হরমুজ আলীর ছেলে। তার বিরম্নদ্ধে ধর্ষণ,চুরি, ছিনতাই, অস্ত্র ,মাদক ব্যবসা,হত্যা
চেষ্টা,চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ক কয়েকটি মামলাও চলমান। থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে কয়েক বার। জামিনে
এসেই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বারিয়ে দেয় কয়েকগুন। ফলে এই বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না কেউ।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করে নিয়মিত চাঁদা। চাঁদার টাকা না দিলেই শুরু হয় সন্ত্রাসী হামলা। বাইপাইল এলাকার আতঙ্কের নামই যেন
সোহাগ বাহিনী। এই বাহিনীর হাত থেকে বাদ যায়নি নির্মাণ শ্রমিকরাও।
গত কয়েকদিন আগে চুক্তিতে নির্মাণ কাজ করা আলী হোসেন নামের
এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে সোহাগ বাহিনী। সেই চাঁদার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা
চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। এর আগে এই ব্যাবসায়ীর ব্যবহৃত মটরসাইকেল ভাংচুর করে সোহাগ বাহিনী।
আলী হোসেন জানান, সে চুক্তিতে ভবন নির্মাণের কাজ করেন। অনেক সময় অন্য ঠিকাদারদের কাঠ বাঁশ দেন। একাজের জন্য মাসে সোহাগ বাহিনীকে ১০ হাজার করে টাকা চাঁদা দিতে হতো। চাঁদার টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করে দিত।
গত রবিবার কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করে । চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রথমে মটরসাইকেল ভাংচুর করে পরে বাড়িতে হামলা চালায়।সন্ত্রাসীদেও ভয়ে বর্তমানে সে এলাকা ছাড়া।
সোহাগের সন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলায় সম্প্রতি এক মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রীকে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে
দেয় সোহাগ বাহিনী।
তথ্য সংগ্রহে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চায়ের দোকানে ঢুকে সোহাগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া মাত্র দোকান থেকে লোকজন চলে যাচ্ছে। সোহাগ মানেই যেন এক অজানা আতঙ্কের নাম।
সোহাগের কথা জিজ্ঞেস করতেই ক্ষণিকের মধ্যে লোক শূণ্য হয়ে যাচ্ছে দোকান গুলো , চারিদিকে নামছে সুনসান নীরবতা।
৬০ উর্ধ্বে এক দোকানী বলে, বাবারে সোহাগের বিষয়ে কেউ কিছু বলবেনা ,বলে কী
মরবে? আর তোমরাও ভালোই ভালো এলাকা থেকে চলে যাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী পোশাক শ্রমিক বলেন, কাজ শেষে রাতে কারখানা থেকে চাড়ালপাড়ার বাসায় ফেরতে খুব ভয় লাগে। মাঝে
মধ্যে সোহাগের লোকেরা মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের জালায় খুব ভয়ে ভয়ে বাসায় ফিরি। এদের বিরুদ্ধে কিছু বলাও যায় না।
স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, এলাকায় সোহাগ গড়ে তুলেছে বিশাল সন্ত্রাস বাহিনী।এদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ভাড়াটিয়া
সহ বাড়িওলারা। ওদের কিছু বলাও যায় না।