ভুক্তভোগী ফকির মোহাম্মদ(৭২), পিতা-মৃত আলেহিম মন্ডল, মাতা-মৃত হায়াতন নেছা, সাং-উথলী আমতলাপাড়া, থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গা জীবননগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন যে, সে উথলী পল্লী বিদ্যুৎ এরিয়া অফিসে নাইট গার্ডের চাকরি করেন। তার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম দুবাই প্রবাসী। সে তার ছেলের সাথে ইমো আইডির মাধ্যমে কথা বলেন। তার ছেলের ইমো আইডি অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা হ্যাক করে ইমো দিয়ে কণ্ঠ নকল করে তাদের সাথে কথা বলে জানায় যে, সে দুবাইতে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করছে। অতঃপর সেখানে টাকা লাগবে বলে ভয়েস কল প্রেরণ করে। এভাবে বৃদ্ধ বাবা সহ পরিবারের সদস্যদেরকে বোকা বানিয়ে কৌশলে আটটা বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে গত ২৫/১০/২২ তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকা হতে গত ২৬/১০/২২ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত সর্বমোট ৫,০০,০০০/- টাকা সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র হাতিয়ে নেয়। উক্ত সাধারণ ডায়েরীর বিষয়ে ভুক্তভোগীর অবস্থা বিবেচনায় পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নির্দেশনার আলোকে অফিসার ইনচার্জ, জীবননগর থানা সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে জীবননগর থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেন। এসআই(নিঃ) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন উক্ত জিডি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও বিকাশ স্টেটমেন্টের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কয়েকজনকে সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হলে নিরবচ্ছিন্ন এনালাইসিসের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এসআই(নিঃ) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ০২ (দু্ই) জন সদস্য ১। মোঃ নাহিদ(২৬), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাতা-মোছাঃ নাজরিন, সাং-মথুরডাঙ্গা, ২। মোঃ আমিরুল ইসলাম(৬০), পিতা-মৃত সৈয়দ ইয়াছিন আলী, মাতা-মৃত নুরুন্নেছা, সাং-রাণীনগর (সাধুর মোড়), উভয় থানা-বোয়ালিয়া, জেলা-রাজশাহী এবং জীবননগর থানাধীন উথলী গ্রামের ৩। হারুন-অর রশিদ(২৩) পিতা-আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেন।
সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের গ্রেফতারকৃত আসামি এবং অন্যান্য পলাতক সহযোগী আসামিদের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।