আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পিঠা উৎসব ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু এক প্রকার নয়, হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে কোনো স্টলে! হ্যাঁ, এমনই আয়োজন ছিল আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পিঠা উৎসব ২০২২ ।
বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মঞ্চ চত্বরে এই বর্ণিল পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। এসময় হরেক রকমের পিঠার সমাগমে পিঠার উৎসবে মেতে উঠেছিল।
গতকাল বুধবার (২১ ডিসেম্বর) তিনটার সময় আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মঞ্চ চত্বরে এ পিঠা উৎসবের কেক কেটে শুভ উদ্বোধন করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর । এসময় আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন নাহার আঁখি,
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাখসুরা জান্নাত, উপজেলা তথ্য অফিসার সিন্ধা দাস,বিআরডিবি কর্মকর্তা সায়লা শারমিন, সমবায় অফিসার মমতাজ বানু,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান জামাল হোসেন প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম সহ উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠাসহ স্টলে লক্ষ্য করা যায় প্রায় ৭০ প্রকারের পিঠার সমাবেশ। এদের ভিতর উল্লেখযোগ্য চিতই, ভাপা, পুলি,তক্তি, নকশি পিঠা, ডিমের পুডিং,পাটি সাপটা, ঝাল চন্দ্রকোনা, চন্দনকুলি, দুধ খেঁজুর, নারকেলের চিড়া, রসপান, হৃদয়হরন, গোকুল পিঠাসহ হরেক রকমের রসালো পিঠা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর জানান, এ উৎসবে আমাদের লক্ষ্য পাশ্চাত্য আকাশ সংস্কৃতি সকলকে মুক্ত করে সবার মাঝে বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করার একটি প্রবণতা গড়ে তোলা। এ সংস্কৃতির ধারক, বাহক ও রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই রঙ বেরঙ্গের পিঠা তৈরিতে নিয়োজিত উদ্যোক্তা সহ যারা এই পিঠা উৎসবে যোগ দিয়েছে তাদের সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।
পিঠা উৎসব ২০২২ এ অংশগ্রহণ করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়, এ জে এগ্রো ফার্ম, ফ্যাশন পার্ক এন্ড ফুড পার্ক বাই সুরভি,ড্রীম কেক হাউজ, এস এন শপিং প্যালেস,ওয়াই টি ফ্রেশ ফুড,আর এ ফ্যাশন জোন,পৌষ পার্বণ,মাইশা দেশি পিঠা হাউস, জামজামি কেক হাউজ, কুহিলী বিউটি পার্লার এন্ড লেডিস ফ্যাশন, পিঠা মেলা ইত্যাদি।সেরা পিঠা স্টল ১ম স্থান অর্জন করেছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত,
সেরা পিঠা স্টল ২য় স্থান অর্জন করেছেন ড্রিম কেক হাউজের স্বত্বাধিকারী সফল নারী উদ্দোক্তা হেলেন আক্তার কামনা,
সেরা পিঠা স্টল ৩য় স্থান অর্জন করেছেন জাকিয়া হোসেন।