রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সদস্য মাতাল শাকিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাঘা থানার এ এসআই সাবদুল ইসলাম বাদি হয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে ইউপি সদস্য শাকিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল করিম জানান, শুক্রবার রাতে বাউসা ইউনিয়নের সদস্য শাকিম উদ্দিন মদ্যপ অবস্থায় গ্রাম পুলিশের দফাদার মোমিন উদ্দিনকে অকঢ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বারংবার তাকে নিষেধ করলে পরে দফাদারকে মারপিট করে। খবর পেয়ে রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শাকিম উদ্দিন বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ভেড়ারিপাড়া গ্রামের মৃত শাকের উদ্দিনের ছেলে। দফাদার মোমিন উদ্দিন একই গ্রামের বাসিন্দা।
দফদার মোমিন উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাত ৮টার থেকে ইউনিয়ন পরিষদে ডিউটিতে ছিলাম। এ সময় মদ্যপ অবস্থায় শাকিম উদ্দিন পরিষদে এসে অকারণে তাকে অকঢ্যভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। নিষেধ করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বে’ধড়ক মারপিট করতে থাকে। স্থানীয় এক দোকানে আশ্রয় নেওয়ার পরেও সেখানে গিয়ে মারধর করেছে।
বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান বলেন, তার গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ইউপি সদস্য শাকিম উদ্দিনকে আটক করে পরিষদে ভেতরে রাখে। পরে বাঘা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাকে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, মাঝে মধ্যেই ইউপি সদস্য শাকিম উদ্দিন কারনে অকারনে মদ্যপ অবস্থায় পরিষদে এসে আবোলতাবোল ভাষায় কথা বলতো। তাকে নিষেধ করলেই উল্টো তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতো। বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবগত করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য শাকিম উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে মদ খেয়ে এলাকায় অশান্তি করে আসছিল। এমন অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। তাকে মদ্যপ অবস্থায় আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে পরীক্ষা করা হলে তার মদ খাওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।