যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে আলমডাঙ্গাবাসী।এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় আলমডাঙ্গা শহরের লালব্রীজ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানায়। প্রথমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর,ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সালমুন আহম্মদ ডন,মহিলা ভাইস ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু,সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ,ওসি সাইফুল ইসলাম,পৌর মেয়র হাসান কাদিন গনু,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে একে একে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানা পুলিশ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,উপজেলা কৃষকলীগ, সরকারি কলেজ, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বিদ্যুত বিভাগ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এলজিইডিসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপজেলা পুলিশের একটি দল শহীদদের উদ্দেশ্যে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময় হত্যার শিকার শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ মাওলানা ওমর আলী। মোনাজাত শেষে পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু,উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, ওসি সাইফুল ইসলাম।কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু,বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ,উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক,বিআরডিবি কর্মকর্তা শায়লা সারমিন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত,মৎস কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আখি,ইউআরসি জামাল হোসেন,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান জাহাঙ্গীর আলম,ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হক,বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান,প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক খ,হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।অন্যদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে।সকালে দলীয় কর্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলন করা হয়,পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সহ সকল শহীদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন,
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম,সদস্য শাহ আলম,সিরাজুল ইসলাম,কাজী খালেদুর রহমান অরুন,সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী রবিউল হক,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু,সম্পাদক মতিউর রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদ সাইফুর রহমান পিন্টু,এ্যাডঃ সালমুন আহম্মেদ ডন
আশরাফুল ইসলমা, সাকিব,অটল,জহুরুল হক স্বপন প্রমুখ।এছাড়াও উপস্থিত ছিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তাগন বলেন,১৯৭১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ঘৃণ্য হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। এদিন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনে পাকিস্তাানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে। তারা তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পর সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়।সন্ধায় উপজেলা প্রশাসন, পৌর সভা,উপজেলা আওয়ামীলীগ,আলমডাঙ্গা থানা সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বধ্যভূমিতে এক হাজার মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়।