সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পর জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি মনোনিত হয়েছেন বর্তমান সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। চুয়াডাঙ্গা
শহরের টাউন ফুটবল মাঠে সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার (এম,পি)’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই ত্রি-বার্ষিক সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপির সাথে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এরপর সেমি ফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন। তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়ে পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।
এছাড়া প্রধান বক্তা হিবেসে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় অন্য নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা করেন।
তবে, ছোট কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হওয়ার দাবি করা হচ্ছে। এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছিলো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে যায় পুরো জেলা শহর। সম্মেলনে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়।