1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আলমডাঙ্গায় লাইলা কনভেনশন হলের শুভ উদ্বোধন করলেন ডা: লিয়াকত আলি মৌলভীবাজার জেলার ৭ থানার ওসি একযোগে বদলী মৌলভীবাজারে সিনিয়র দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতার  মামলা প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিক প্রশিক্ষনার্থী ফোরাম সিলেট বিভাগের সভাপতি মনোনীত রুমান আহমদ মাজারে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাকের পার্টি সিরাজগঞ্জে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক এক সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী গ্রেড সুরক্ষা কমিটির আয়োজনে আলোচনাসভা সিরাজগঞ্জে মসজিদের সিড়ির নিচে থেকে ম্যাগজিন ও গুলিসহ দুটি শর্টগান উদ্ধার সিরাজগঞ্জে অটোরিকশা-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৫ জেলা বিএনপির সভাপতির ষড়যন্ত্রের শিকার  যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন 

 ৫ ডিসেম্বর জুড়ী মুক্ত দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১২৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
 ৫ই ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের জুড়ীর ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে জুড়ী এলাকা (বর্তমান জুড়ী উপজেলা) মুক্ত হয়।
’৭১ সালের ১ ও ২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে মুক্তিযুদ্ধের ৪ নং সেক্টরের রানীবাড়ী সাব-সেক্টরের অধীনস্থ সকল ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।
৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় ভারতের বাগপাশা থেকে অগ্রসর হয়ে রাঘনা নামক স্থানে ভারত-বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণকারী জুড়ী নদীর উপর অস্থায়ী সেতু নির্মান করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের ফুলতলা বাজার বিনা বাধায় দখল করে নেয়। রাতের মধ্যেই পার্শ্ববর্তী সাগরনাল ইউনিয়নের ডিফেন্সও মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। এখানে মুক্তিবাহিনীর ক্যাপ্টেন সুখ লালসহ কিছু সংখ্যক সৈন্য রয়ে যান, বাকিরা জুড়ীর দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। রত্না চা বাগানের কাছে এসে পাকিস্তানী বাহিনী কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা গুলি বিনিময়ের পর পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে কাপনা পাহাড় চা বাগানের নিকট চলে যায়।
যৌথবাহিনীও এখানে ডিফেন্স নেয়। পরদিন দিনভর পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে প্রচন্ড যুদ্ধ চলে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কিছু সৈন্য হতাহতের পর ঐ রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী জুড়ীর দিকে পালিয়ে যায়। কাপনা পাহাড় থেকে যৌথবাহিনীর সৈন্যরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে একদল কুলাউড়া শত্রুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে গাজীপুর চা বাগানের রাস্তা ধরে কুলাউড়ার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অপর দল জুড়ীর দিকে এগিয়ে যায়।
পরদিন ৪ ডিসেম্বর ভারতের কুম্ভিগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কয়েকটি যুদ্ধ বিমান যৌথবাহিনীর সমর্থনে এসে জুড়ী ও কুলাউড়াতে সেলিং করতে থাকে। বিমান বাহিনীর সেলিংয়ের মুখে জুড়ীতে অবস্থানরত পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী টিকতে না পেরে রণে ভঙ্গ দিয়ে ঐ রাতে পালিয়ে যায়। শত্রুমুক্ত হয় জুড়ী।
মুক্তিযোদ্ধারা লাল-সবুজ পতাকা হাতে নিয়ে শহরে প্রবেশ করে জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন গোটা অঞ্চল।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel