বেশ কিছু দিন থেকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা প্রায় প্রতিটি গ্রামীন রাস্তাসহ পৌর শহরের রাস্তা সমুহে দিনেরাতে অব্যাহত ভাবে নদী খননের উত্তোলনকৃত বালি এবং ইটভাটায় প্রয়োজনীয় মাটি পরিবহন কাজে ইজারাদার ও ভাটা মালিকেরা নিষিদ্ধ ১০ চাকার বড় বড় ড্রাম্পট্রাক ব্যবহার করছেন।
সংগত কারনে সরু রাস্তা গুলোতে জন চলাচলে চরম বিঘ্ন হচ্ছে, প্রায় প্রায় সড়ক দূর্ঘটনায় জান মালের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলেও অনেক পথচারীর অভিযোগ।
তাছাড়া সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাগুলো ধ্বংস হচ্ছে।
খননের স্তূপকৃত বালি সমুহ সংশ্লিষ্ট নদীর দুই পাড়েই মজুদ করা হয়।
সরকারি বিধি মতে বালি সমুহ লট আকারে বিভিন্ন জনের নিকট উপজেলা প্রশাসনের জ্ঞাতসারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইজারা প্রদান করেন।
ইজারা শর্তে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইজাদার নিজ জিম্মায় বালি অপসরন করে নিবেন।
বালু বহনে কোন মতেই ১০ চাকার ড্রাম্পট্রাক ব্যবহার করতে পারবেন না।
রাত্রিতে বালু অপসারণ করা যাবে না।
জন চলচলে বিঘ্ন সৃষ্টি, রাস্তাঘাট, পরিবেশের বিপর্যয় ঘটানো যাবে না।
ইতিমধ্যে গত ২৭ নভেম্বর’২০২২ ইং তারিখ থেকে ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে মর্মেও নেতৃবৃন্দ নিশ্চিত করেছেন।
ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করা যাবে না।
কিন্তু শতগ্রাম ইউনিয়নে বলদিয়াপাড়া বালু মহালে লাগাতার ড্রেজার মেশিন ও ড্রাম্পট্রাক চালু আছে।
অপর দিকে ইটভাটার এখন ভরা মৌসুম, তাই ভাটা মালিকেরা কেউ কেউ মাটি বহনে ড্রাম্পট্রাক ব্যবহার করছেন।
তাই গ্রামীন রাস্তাগুলো মানুষের চলাচল মারাত্মক কষ্টকর হয়ে পরেছে, জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।
ভুক্তভোগী এলাকার নেতৃস্থানীয় সচেতন ব্যক্তি নিজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম আসলাম, ১২ নম্বর গোলাপগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিমন সরকার, সাধারন সম্পাদক অন্যায়ের প্রতিবাদি কন্ঠস্বর শফিউল আজম জানান উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে উপজেলা প্রশানের নিকট গন অভিযোগ করা হলেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
যে কোন মুহুর্তে জনগন রাস্তায় নেমে লাগাতার আন্দোলন শুরু করতে পারে।
এ ব্যপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরিয়াস সাঈদ সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন কোন অনিয়ম, এত লম্বা সময় চলতে পারে, তা আমি বিশ্বাস করি না।
প্রশাসন কেন এমন পরিস্থিতিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে বরং কি স্বার্থে তাদপরকেই সহায়তা করছেন, সেটি আমার বোধগম্য নয়?
জনগনের ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে কিংবা কোন বিশৃঙ্খলা হলে তার দায়ভার উপজেলা প্রশাসনকেই নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভুমি, বীরগঞ্জ দিনাজপুরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান লিখিত কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর ....