ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী লতা সরকার(৩৫) কে ফুসলিয়ে নির্জনস্থান দক্ষিন কেরানীগঞ্জের কদমতলী সাবান ফ্যাক্টরী সড়কে নিয়ে স্লীতাহানি করে। বলে দেয়ার ভয়ে পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আগুন লাগিয়ে দেয়। এলাকাবাসী একজন লোকের শরীরে আগুন লেগে ছটফট করতে দেখে এগিয়ে যায়। তারা আগুন নিবিয়ে ৯৯৯ ফোন করে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে নারীকে উদ্ধার করে গত সোমবার রাত ৯টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আই সি ইউ তে ভর্তি করে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় লতা সরকারের বড় ভাই স্বপন সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ ঘটনায় তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবউদ্দিন কবির। তিনি বলেন, মেয়েটি বাক প্রতিবন্ধি, তার পরিচয় নিশ্চিৎ করতে সিআইডি ফিঙ্গার ডিসপজিট টিমের মাধ্যমে ফিঙ্গার নিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। তার বাড়ি কেরানীগঞ্জের মডেল থানার কলাতিয়া এলাকার রতন সরকারের কন্যা। নিহতের ভাইকে ডেকে আনলে তিনি জানান,আমার বোন বাক প্রতিবন্ধী। তিনদিন আগে নিখোজ হয়। কাল সকালে জিডি করবো বলে তিনি জানান এর আগে আমার বোনকে অনেক জায়গায় খুজেছি। রাতে আপনাদের মাধ্যমে এ খবর নিয়ে আসায় জেনেছি। তার বোন লতা সরকার। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, লতা সরকারকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে নিহতের ভাই স্বপন সরকার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তবে নিহত লতা ধর্ষন হয়েছে কিনা সেটা মেডিক্যাল রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।