আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া ফেরিঘাটপাড়ায় ৭৫ বছর বয়সী রাহেলা খাতুন নামের এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় এই ঘটনা ঘটে বলে পাড়া প্রতিবেশী ও এলাকাবাসির অভিযোগ। বৃদ্ধার ছেলে সেলিম ( ৫০),বেটার বৌ রিনা( ৪৫),নাতি ছেলে সম্রাট (২৮) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ছেলে, বেটার বৌ, নাতি ছেলে সবাই মিলে
বাটাম দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে জানা যায়।
আরো যানা যায় গত ৩ দিন ধরে বৃদ্বা রাহেলাকে কিছু খেতে দেয়নি নাতি ছেলে সম্রাট ও বেটার বৌ রিনা খাতুন।
রাহেলা খাতুনের মেয়েরা জানায়,বার্ধক্য জনিত কারণে তাদের মা চলাফেরা করতে পারতেন না। নিহতের মেয়েদের অভিযোগ, তাদের মাকে ঠিক মতো খেতে দিতো না ছেলে, পুত্রবধু রিনা খাতুন। মলমুত্র পরিস্কারও করতো না। খাবার চাওয়ায় রাগান্তিতো হয়েই গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছেলে সেলিম, পুত্রবধু রিনা ও তার ছেলে সম্রাট পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখে।
স্থানীয় প্রতিবেশিরা জানায়, নিহতের একমাত্র ছেলে সেলিম তার স্ত্রী রিনা খাতুন ও সন্তানদের নিয়ে পাকা ঘরে থাকলেও তার মাকে রেখে দিতো টিনের ছাপড়িতে। প্রায় রাতে ক্ষুদার জ্বালায় খাবার ও পানি চাইলেও দেয়া হতো না বৃদ্ধা রাহেলাকে।
প্রতিবেশিরা খাবার দিতে আসলে খারাপ আচরণ করত পুত্রবধু রিনা খাতুন। বিরক্ত হয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়টি অন্যান্যদের জানালে প্রতিবেশিদের অনেকে ছুটে যান। তারা বৃদ্ধার ছেলে সেলিম, ছেলের বউ রিনা খাতুন ও নাতি সম্রাটকে ঘরে আটকে রেখে পুলিশকে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আনেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রতিবেশিরা জানান, ছেলে ও নাতিছেলে বাইলধারা দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরেছে বৃদ্ধাকে। কে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে তা জিজ্ঞাসা করলে বৃদ্ধা সম্রাট মেরেছে বলে নাসিমা খাতুনকে জানিয়েছিলেন।
এঘটনায় রাতেই বৃদ্ধা রাহিলা খাতুনের ছোট মেয়ে সবুরন খাতুন বাদী হয়ে ভাই সেলিম, ভাবী রিনা ও ভায়ের ছেলে সম্রাটকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।