সিলেট বিভাগের একমাত্র টেস্ট টিউব বেবী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার অ্যান্ড কাউন্সিলিং সেন্টারে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে হিমায়িত ভ্রণ থেকে প্রথম মেয়ে টেস্ট টিউব বেবীর জন্ম হয়েছে। সোমবার ২৮ নভেম্বর সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে এই টেস্ট টিউব বেবীর জন্ম হয়।
বর্তমানে মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ রয়েছেন। টেস্ট টিউব বেবীটির ওজন হয়েছে ২.৮ কেজি। দীপশিখা কর্তৃপক্ষ এই সেন্টারে জন্ম নেওয়া প্রথম টেস্ট টিউব বেবীর নাম রেখেছেন ‘দিয়ানা’। দীপশিখা সেন্টারের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন অপারশন থিয়েটারে ডা. নিবাস চন্দ্র পাল এই সিজারিয়ান অপারেশন করেন।
দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার অ্যান্ড কাউন্সিলিং সেন্টারের প্রধান পরামর্শক ডা. নিবাস চন্দ্র পাল, এমবিবিএস, এফসিপিএস (অবস্ এন্ড গাইনী) এন্ড অবস্টেট্রিক্যাল সনোলজিস্ট জানান, ২০২১ সাল থেকে দীপশিখা সেন্টারে টেস্ট টিউব বেবী কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি ২০১৩ সাল থেকে টেস্ট টিউব বেবীর উপর নিজস্ব গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।
২০১৮ সালের ২৫ জুলাই শ্রীমঙ্গলের কলেজ রোডে প্রসূতি, স্ত্রীরোগ এবং বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় সিলেট বিভাগের প্রথম এবং একমাত্র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার অ্যান্ড কাউন্সিলিং সেন্টার গড়ে তোলেন। এরপরই ২০২১ সাল থেকে টেস্ট টিউব বেবী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি জানান, বর্তমানে আরও ১৪ জন বন্ধ্যাত্ব নারী টেস্ট টিউব বেবী জন্মদানের অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি জানান, ইক্সি পদ্ধতির মাধ্যমে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) এর মাধ্যমে এ টেস্ট টিউব বেবীর জন্ম হয়। এ কার্যক্রমে ডা. নিবাস চন্দ্র পালকে সহযোগিতা করেন ডা. দীপাঞ্জলী পাল, ডা. রিপন ভৌমিক ও ডা. আবির হোসেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, দীপশিখা সেন্টার সিলেট বিভাগের প্রথম এবং একমাত্র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। এখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন অপারেশন থিয়েটার, জিএ মেশিন, ল্যাপারোস্কোপি মেশিন, ২৪ ঘন্টা আলট্রাসনোগ্রাম, ট্রান্সভ্যাজাইনাল সনোগ্রাফি, হাইড্রো ইলেকট্রিক বেড, ইন্টারকম সার্ভিস, পেসেন্ট মনিটরিং এর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মনিটরসহ পালস অক্সিমিটার স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য রয়েছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন, নবজাতকের চিকিৎসার জন্য ফটোথেরাপি মেশিন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, বর্জ্য পরিশোধনের জন্য বিদেশী প্রযুক্তির ইনসিনারেটর মেশিন, অটো জেনারেটর ও লিফট বিদ্যমান রয়েছে।
হাসপাতালটি নিঃসন্তান বাবা মায়ের ভরসার স্থল বলা যায়।