রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ৪ টি ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এসব অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনটি ভাটার মালিকসহ ইট ভাটায় কাউকে না পাওয়ায় পানি দিয়ে ভাটা নিভে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ড্রাম চিমনী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং ড্রাম চিমনী ব্যবহারের অভিযোগে বাইগাছা মতিউর রহমান নামে এক ইট ভাটার মালিককে ঘটনাস্থলে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাগমারায় অবৈধ ভাবে ইট ভাটায় ইট পোড়ানোয় পরিবেশের ক্ষতি করায় উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিগত দিনে একাধিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে এলাকাবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধ ভাবে ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং ড্রাম চিমনী ব্যবহারের অভিযোগে জেলা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে উপজেলায় তিনটি ইট ভাটার কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং ড্রাম চিমনী ব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা মিলে।
অভিযানের সময় উপজেলার বাইগাছা মতিউর রহমান নামে এক ইটভাটার মালিককে ঘটনাস্থলে আটক করা হয়। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। আদালতে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সুজনপালশার মোস্তাক আহম্মেদের ভাটা ও সালজোড় এলনাকাসহ তিনটি ভাটায় অভিযানের বিষয় টের পেয়ে ভাটা রেখে সবাই পালিয়ে যায়।
ইট ভাটায় কাউকে না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় ভাটা গুলো পানি দিয়ে নিভে ফেলা হয়। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দীর্ঘদিন থেকে ওই সকল ইট ভাটার মালিক ভাটা চালিয়ে যাচ্ছিল। অভিযানকালে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। একই সাথে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।