বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা লেখালেখির পর ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর অবশেষে সিলগালা করা হলো আলমডাঙ্গা কলেজ রোডস্থ সেই ডাঃ আব্দুল হান্নানের মডার্ন ডেন্টাল সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও হাই রোড়স্থ ফাতেমা ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার। প্রকাশিত সংবাদের (দাঁতের চিকিৎসা নিতে আসা রুবেল হোসেনের শ্বাসনালী কেটে মৃত্যুর ঘটনার) উপর ভিত্তি করে গতকাল এই ডেন্টাল ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পরিবেশ,গুণগতমান ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ব্যবহারিত প্রয়োজনীয় সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাদির সক্ষমতা দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি এ অভিযান পরিচালনা করে। এই তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান সক্ষমতার থেকে অধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে ব্যবসায়িক প্রবণতা, অন্ধকার, নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ভেন্টিলেশনে যথেষ্ট অভাব, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, হ্যান্ড গ্লোভ, টিস্যু যত্রতত্র ফেলে রাখা। এছাড়াও মৃত রুবেল হোসেনের অপারেশনের জন্য অভিভাবক কর্তৃক অনুমতি অনুমতি পত্র /স্বাক্ষরকৃত বন্ডের কোন অনুলিপি না থাকায় ও প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেসন ও উপস্থিত ডাক্তারদের কোন সদুত্তর না পাওয়ায়, তদন্ত কমিটি ডেন্টাল ক্লিনিকটিকে সিলগালা করার সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি ফাতেমা ক্লিনিক হাসপাতালকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার অপারেশন ও সার্জিক্যাল কর্মকাণ্ড থেকে অপারেশন থিয়েটারটি বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এই অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলার সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আউলিয়ার রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাঈদ, আর এম ও ডাঃ নাজনীন সুলতানা কণা।বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়ার/চরপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেনের( ২৭) আকস্মিক মৃত্যুতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উপস্থিত এলাকাবাসী এ বিষয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিকদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।