দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানী টিম এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করে আসছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গা দারুস সালামের সামনে জিসান টাওয়ার ( গ্রামীণ ব্যাংকের বিল্ডিং) এ কয়েকজন নারী পুরুষকে সন্দেহজনক ভাবে বিল্ডিং এর পঞ্চম তলায় উঠতে দেখলে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানি টিম তাদের পিছু নেয় এবং সাংবাদিকদের খদ্দের মনে করে তাদের সাথে ৫০০ টাকায় ও ১০০০টাকার এই দুই রেটের দেহ ব্যবসায়ী নারী পাওয়া যায় বলে জানাই। কিছুক্ষণ পর সাংবাদিকদের পরিচয় জানতে পেরে দুই জন নারী দেহ ব্যবসায়ী এবং একজন খদ্দের অন্য রুমের দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত গতিতে নেমে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দেহ ব্যবসায়ী এবং একজন খোদ্দের সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলে। খোদ্দের জানাই তার বাড়ি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তার বয়স ২৮ বছর এবং সংসারে তার স্ত্রী ও সন্তানাদি আছে। সে আরো জানায় আলমডাঙ্গাতে মাঝে মাঝে কেনাকাটার প্রয়োজনে আসতে হয়, চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় দেহ ব্যবসায়ীর দালালের সাথে তার পরিচয় হয় এবং আলাপচারিতার মাধ্যমে একসময় দালাল দেহ ব্যবসায়ীর ফোন নাম্বার দেয়। এভাবে খরিদ্দাররা দেহ ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে এবং নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়। জানা যায় এই বিল্ডিং এর মালিক মোখলেসুর রহমান হিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইটালিতে প্রবাস জীবন যাপন করছেন এবং বিল্ডিং এর কেয়ারটেকার জানান ভাড়াটিয়া মাত্র ১৫ দিন আগে পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট টি ভাড়া নেন এবং দেহ ব্যবসা চলে এ বিষয়ে তিনি তেমন কিছু জানেন না। তবে ওই ফ্ল্যাটে প্রায়ই অপরিচিত লোক উঠতে দেখলে তিনি জিজ্ঞাসা করলে পঞ্চম তলার ভাড়াটিয়া তাদের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী এবং আশপাশের দোকানদার, ব্যবসায়ীরা বিষয়টিকে প্রশাসনের বিশেষ নজরদারিতে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।