আলমডাঙ্গা কুমারী চরপাড়ার স্ত্রী সন্তান রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এক যুবক। এমন অভিযোগ তুলেছেন খোদ ওই যুবকের স্ত্রী। কুমারী ইউনিয়নের কুমারী চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারী তহমিনা খাতুন (২৪) বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তহমিনা খাতুন কেষ্টপর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে এবং স্বামী সালাউদ্দিন টুটুল (২৭) কুমারী চরপাড়া এলাকার মৃত লাল্টুুর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তহমিনা খাতুনের স্বামী সালাউদ্দিন টুটুল ৬ বছর পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের তহমিনার কোলজুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান। এদিকেস সালাউদ্দিন টুটুল স্ত্রী-সন্তান রেখে গোপনে বন্ডবিল লীমা খাতুনকে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেছে। খবর তহমিনার কাছে পৌঁছালে তহমিনা খাতুন স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে বাড়ি বের করে দেয়। কোন কুল কিনারা না পেয়ে তহমিনা খাতুন থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তহমিনা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার স্বামী ১। নম্বর বিবাদী পিতা মৃত লালটু ২। নম্বর বিবাদী সোনা ভাদু মৃত জালাল বাক্স ৩। নম্বর মওলা বক্স ৪। নম্বর মুরাদ বক্স উভয় পিতা মৃত কেদার বক্স সর্বসাং কুমারী চরপাড়া ৫। নম্বর বিবাদী রাশিদা খাতুন স্বামী আতিয়ার সাং নাগদহ দক্ষিণপাড়া ৬। নম্বর বিবাদী খবিরুল ইসলাম পিতা অজ্ঞাত সাং দুর্গাপুর সর্ব থানা আলমডাঙ্গা।উক্ত বিবাদীগণের মধ্যে এক নম্বর বিবাদী সালাউদ্দিন টুটুলের সহিত গত ৬ বছর পূর্বে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইসলামী শরিয়া মতে বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বিবাহের পর হইতেই ২। নম্বর ও ৬। নম্বর বিবাদী গনের কুপরামর্শে ১। নম্বর বিবাদী আমার স্বামী সালাউদ্দিন টুটুল ৪ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে আমাকে মারপিট করার সহজ শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতে থাকে। উক্ত যৌতুকের বিষয়ে আমার পিতা মাতাদের অবগতি করলে আমার পিতা মাতা আমার সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র প্রদান করে। এর পরেও উক্ত বিবাদীগণের খুব পরামর্শে আবারো আমাকে মারপিট করা সহ আমার অনুমতি ছাড়া ২। নম্বর ও ৬। নম্বর বিবাদিদের সহযোগিতায় বন্ডবিল গ্রামের লিমা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে আমার পর আর অত্যাচার বেড়ে যায় এবং আমাকে কোন ভরণপোষণ দেয় না বা খোঁজখবরও নেয় না। দ্বিতীয় বিবাহের কথা বললে আমার স্বামী আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। কোন উপায়ান্তর না দেখে আমি থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।