চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এবার ফসলের মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে আমন ধান। বাতাসে দুলছে সোনালী শীস। সোনালী রঙ ধরার পাশাপাশি শুরু হয়েছে কটাছেড়া। আর আমনের পাকা শীষে সোনালী আভাদেখা দেখে বাম্পার ফলনের আশায় নতুন করে বুক বেঁধেছে কৃষক।
এরইমধ্যে আগাম জাতের ধানগুলো কাটা-মাড়ার পাশাপাশি শুরু হয়েও গেছে আমনের কাটাছেঁড়া। আগাম জাতের ফলন মোটামুটি ভালো হচ্ছে এবং বাজারে দামও ভালো আছে। পাশাপাশি আমন ধানের ফলন ও দাম আরো ভালো হবে এআশায় নতুন করে বুক বেঁধেছে কৃষকরা।
কৃষি অফিস ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বর্তমানে আগামজাতের ধান কাটার পাশাপাশি আমন ধান ও কাটা শুরু হয়েছে।
কৃষক ও কৃষি বিভাগের বরাত দিয়ে নাচোল প্রতিনিধি জানিয়েছেন উপজেলায় মাঠজুড়ে আমন ধানের কাঁচা-পাকা ধানের শীষের সমারোহ। স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। কেউ ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবার কেউ কেউ কাটতে শুরু করেছে দিয়েছে।
এদিকে চলতি বছর ভালো ফলন হবে বলে কৃষি বিভাগও জানিয়েছে।
উপজেলার মাঠঘুড়ে দেখা গেছে, পাকা শীষের ভারে মাটিতে নুয়ে পড়ছে ধানগাছ। মাঠ জুড়ে চলছে ধানকাটার মহোৎসব। মাঠজুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। অনেক কৃষক ধারণা করছেন, এবার ধানের উৎপাদন ভালো হবে এবং দামও ভালো পাবো, এমন আশায় নতুন করে বুক বেঁধেছে তারা।
নাচোলের কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন খরা ও বন্যা না থাকায় এ বছর ভালো ফলন হবে। তিনি চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে ৫১ ধানের আবাদ করেছেন। এবং গড় ফলন ২২মণ বিঘা হবে বলে তিনি আশা করছেন। সার কীটনাশক সেচ ও অন্যান্য খরচসহ বিঘাপ্রতি আনুমানিক ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি ধান কাটা শুরু করে দিয়েছে।
কামার জগদইল গ্রামের বশির আহমেদ জানান রোগবালাই ও ইঁদুরের আক্রমণ থেকে রক্ষায় কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নানান পরামর্শ দিয়েছেন। ক্ষেতে ধান ভালো হয়েছে। শুরু থেকেই শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা করছেন। ধান কাটার পর সরিষা, গমের, মুসর ও ধানের আবাদ করবেন বলে তিনি জানান।
নেজামপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল জানান, কৃষকদের জমিতে যথাযথ পরিচর্যাসহ সময়মতো সার ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ তেমন একটা ছিল না।বাম্পার ফসল উৎপাদিত হবে বলে তিনিও ধারণা করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুন নূর বলেন
এবছর নাচোলে ২২হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আমরা সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে এসেছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ক্ষেতের ধানের অবস্থা ভালো রয়েছে। উৎপাদন ও ভালো হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি