ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন অপরাধী সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে।ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে অপরাধরোধে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বিকেল ৪ টায় থানা কনফারেন্স রুমে উপজেলার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন। থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিনুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ভাংরি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফারুক হোসেন প্রমূখ।
আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম মতবিনিময় সভায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গারী ব্যবসার অন্তরালে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অপরাধী সিন্ডিকেট। তারা এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদক, জুয়া, যৌনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। ওইসব চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার আড়ালে নানারকম অপকর্ম করেন।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা ভাঙ্গারী ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কতিপয় অসাধু লোক স্বল্প বেতন কিংবা কমিশনে স্থানীয় মাদকসেবী, বখাটে যুবক ও ছিচকে চোরদের এ পেশায় কাজে লাগিয়ে এবং তাদের ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার লোহার মালামাল, টিন, ষ্টিল, তামা, পেপার, বই, এল্যুমিনিয়াম, প্লাষ্টিক ও টায়ার জাতীয় দ্রব্য কম দামে ক্রয় করে বিশাল মজুদ গড়ে তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিল-কারখানার যন্ত্রাংশ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা তাদের নিযুক্ত ফড়িয়া- হকার কিংবা খুচরা ক্রেতাদের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে হরেক রকম সিন্ডিকেট সদস্যরা রাতের অন্ধকারে টিউবওয়েলের মাথা, লোহার পাইপ, গাড়ীর যন্ত্রাংশ, প্লাষ্টিক সামগ্রী, নতুন-পুরাতন রড, সরকারী- বেসরকারী দপ্তর কিংবা আবাসিক এলাকায় পরিত্যাক্ত পড়ে থাকা বিভিন্ন মালামাল নিয়ে এসে ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করে দিচ্ছে। তাই তিনি ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের অটো গাড়ির চার্জার মেশিন, ডিপ টিউবওয়েলের মুখ, ট্যাপের মুখ এগুলো ক্রয় না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।