চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা পৌরসভাধীন গোবিন্দপুর মাদ্রাসাপাড়ার মোঃ সানোয়ার হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ জবেদা খাতুন গত ৬ নভেম্বর তার উত্তর দুয়ারী একতলা পাঁকা বসত ঘরের ভেতরেই ছিলেন। বাড়ীতে প্রাচীরের পশ্চিম কোনের পকেট গেইটসহ ঘরের পশ্চিম পাশের প্রবেশের দরজা খোঁলা রেখে বাসার নিত্যদিনের কাজকর্ম করিতেছিলেন। বেলা অনুমান ২টার সময় তিনি পানির মটর চালিয়ে বাথরুমে কাপড় ধৌত করিতে যান অনুমান আধা ঘন্টা ধরে ধৌত শেষে বেলা অনুমান ২টা ৩০ মিনিটের সময় বাথরুম থেকে বের হন। পশ্চিম পাশের প্রবেশের দরজার সামনে দেখতে পান একজন অনুমান ৬০/৬৫ বছরের বয়স্ক ফর্সা এবং মোটা মহিলা প্রাচীরের ভেতরে থাকা আম গাছের সহিত হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে এবং তাকে মা সন্মোধন করে তার নিকট পানি খেতে চান। তবে পানি না খেয়ে দ্রুত চলে যান। পরবর্তীতে তিনি (মোঃ সানোয়ার হোসেন এর স্ত্রী) পুনরায় বাথরুমে ঢুকে কিছু কাপড় চোপড় ধৌত করে এবং গোসল করে বের হয়ে দেখতে পান মেইন গেটের দরজার সিটকেনি খোঁলা সাথে সাথে তাহার সন্দেহ হইলে বসত ঘরের উত্তর পূর্ব কোনের ঘরে দ্রুত প্রবেশ করেন এবং দেখতে পান উক্ত ঘরের ওয়ারড্রপ এর উপরের ড্রয়ারে থাকা স্বর্ণের ১। একটি সীতা হার, ২। একটি চিক (হার), ৩। একজোড়া বালা, ৪। ছোট, বড় মোট তিনটি আংট নাই। বিষয়টি অফিসার- ইনচার্জ আলমডাঙ্গা থানা জানতে পেরে সাথে সাথে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয়কে অবহিত করেন। পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের নির্দেশে, সদর সার্কেল, চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ আবদুল আলীম নেতৃত্বে সঙ্গীয় এসআই (নিঃ) সালাউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানায় রক্ষিত আসামীদের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করিয়া দেখেন ইতিপূর্বে আসামী জাহানারা বেগম হাপানিয়া এলাকায় চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে এবং থানায় মামলা হয়। আসামী জাহানারা বেগম এর ছবি সংগ্রহ করে মামলার বাদী মোছাঃ জবেদা খাতুন কে দেখালে তিনি আসামীকে চিনতে পারেন। পুলিশ মোছাঃ জবেদা খাতুন ও তার স্বামীসহ কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর থানাধীন চৌড়হাস (ক্যানালপাড়া) পাড়াস্থ আসামী জাহানারা এর বাড়ীতে ইং ৭ নভেম্বর রাত ০২ টা৪০ মিনিটের সময় উপস্থিত হলে জবেদা বেগম আসামী জাহানারাকে চিনতে পারলে আসামী জাহানারা বেগম নিজে একা চুরি করেছেব বলিয়া স্বীকার করে। তার দখলে থাকা তার নিজের ষ্টীলের আলমারীর ভেতর থেকে তার বাহির করিয়া দেওয়া মতে চুরি যাওয়া স্বর্ণের ১। একটি সীতা হার, ওজন অনুমান ০২ ভরি এবং ২। ছোট, বড় মোট তিনটি আংটি, ওজন অনুমান ০৮আনা পুলিশ উদ্ধার করেন। বাকী স্বর্ণালংকার কোথায় আছে জানতে চাইলে আসামী জাহানারা জানান একটি স্বর্ণের চিক (হার), ওজন অনুমান ১.৫ ভরি ও একজোড়া স্বর্ণের বালা, ওজন অনুমান ১.৫ ভরি ০২ নং আসামী মোঃ সোহাগ আহম্মেদ এর নিকট গচ্ছিত আছে। তখন পুলিশ আসামী জাহানারা বেগমকে নিয়ে আসামী সোহাগের বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে সোহাগ কে ধৃত করে এবং তার কাছ থেকে একটি স্বর্ণের চিক (হার), অনুমান ১ভরি ৮আনা ও একটি স্বর্ণের বালা, ওজন অনুমান ১২ আনা উদ্ধার করেন। তখন জানা যায় আসামী জাহানারা বেগম আসামী সোহাগ এর নিকট থেকে ৪৫ হাজার টাকা গ্রহন করেছেন। তখন বাকী বালাটি ও ৪৫ হাজার টাকা কোথায় আসামী জাহানারা বেগম এর নিকট জানতে চাইলে উক্ত বালা ও টাকা আসামী তার মেয়ে মোছাঃ পলি খাতুন এর নিকট গচ্ছিত আছে বলে জানায়। তখন পুলিশ পুনরায় আসামী জাহানারা খাতুন এর বাড়ীতে গিয়ে আসামী পলি খাতুন এর নিকট হইতে একটি স্বর্ণের বালা ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন। মোঃ সানোয়ার হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ জবেদা খাতুন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যাহা আলমডাঙ্গা থানার মামলা নং ০৬, তাং ০৬/১১/২০২২ ইং ধারা ৪৫৪/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত মামলা মূলে আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/ মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদ ।
উদ্ধারকৃত মালামালের বর্নণাঃ-
১। একটি সীতা হার, ওজন অনুমান ০২ ভরি, মূল্য অনুমান ১,৫২,০০০/- টাকা।
২। ছোট, বড় মোট তিনটি আংটি, ওজন অনুমান ০৮আনা, মূল্য অনুমান ৩৮,০০০/- টাকা।
৩। একটি স্বর্ণের চিক (হার), অনুমান ১ভরি ৮আনা, মূল্য অনুমান ১,১৪,০০০/- টাকা।
৪। একজোড়া স্বর্ণের বালা, ওজন অনুমান ১ভরি ৮আনা, মূল্য অনুমান ১,১৪,০০০/- টাকা।
৫। স্বর্ন বিক্রয়ের নগদ ৪৫,০০০/- টাকা।
মোট উদ্ধারঃ স্বর্ণালংকার ৫ভরি ৮আনা, মূল্য অনুমান ৪,১৮,০০০/- টাকা ও নগদ টাকা ৪৫,০০০/- সর্বমোট ৪,৬৩,০০০/- টাকা।
আসামীর নাম, ঠিকানাঃ
১। মোছাঃ জাহানারা বেগম (৬৫), স্বামীঃ মোঃ আবুল হোসেন, সাং- চৌড়হাস (ক্যানালপাড়া),
২। মোঃ সোহাগ আহম্মেদ (৩৮), পিতাঃ মৃত নাজিম উদ্দিন, সাং- চৌড়হাস (কলোনী),
৩। মোছাঃ পলি খাতুন (৩৮), স্বামীঃ মোঃ রেজাউল করিম, সাং- চৌড়হাস (ক্যানালপাড়া),
সর্ব থানাঃ কুষ্টিয়া সদর, জেলাঃ কুষ্টিয়া।
এ জাতীয় আরো খবর ....