আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের তৎপরতায় ১২ ঘন্টার মধ্যে চুরি যাওয়া সমূদয় স্বর্নালংকার উদ্ধার। আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ
জানা গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন শালিকা গ্রামের মোঃ রাজন মিয়ার স্ত্রী আরফিনা খাতুন দুই সন্তান ও শ্বশুরীকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে থাকে। স্বামী রাজন আলী মালায়শিয়া প্রবাসী। গত ইং ০২ নভেম্বর বিকাল ৫ ঘটিকায় আসামী আল-আমিন( ৪০) পিতাঃ মৃত ইলিয়াছ, সাং-রামনগর (মাঝেরপাড়া), থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা আরফিনা খাতুনের বাড়ীতে প্রতারণার উদ্দেশ্য কৌশলে প্রবেশ করে। নিজেকে শাহজাহান বলে পরিচয় দেয় এবং সে জানায় আরফিনা খাতুনের স্বামী রাজনের সাথে মালায়শিয়া একসাথে ছিল। আরফিনা খাতুন সরল বিশ্বাসে উক্ত আসামীকে ঘরের বারান্দায় বসতে বলে নাস্তার ব্যবস্থা করতে যায়। আসামী মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ওয়ারড্রপের ড্রয়ের তালা ভাঙ্গিয়া ড্রয়ারে থাকা একজোড়া স্বর্নের বালা, এক জোড়া স্বর্নের কানের দুল, একটি স্বর্নের আংটি, একটি স্বর্নের ব্রেসলেট চুরি করিয়া প্যান্টের পকেটে রাখার সময় আরজিনা খাতুনের মেয়ে মারিয়া খাতুন দেখে চিৎকার দিলে আসামী দ্রুত তার মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি অফিসার- ইনচার্জ আলমডাঙ্গা থানা জানতে পেরে সাথে সাথে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয়কে অবহিত করেন। পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের নির্দেশে, সদর সার্কেল, চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক (অপারেশন্স) মোঃ একরামুল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) সালাউদ্দিন, এসআই (নিঃ) পলাশ পারভেজ, এসআই(নিঃ) অচিন্ত আধিকারী (গাংনি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র) ফোর্সসহ আসামীর ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেলের সূত্র ধরে আসামীকে বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৪ ঘটিকায় তার নিজ বাড়ী হইতে গ্রেফতার করে আসামীর নিকট হতে চুরি যাওয়া সমূদয় স্বর্নলংকার উদ্ধার করেন। আরফিনা খাতুন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যাহা আলমডাঙ্গা থানার মামলা নং ০৪ তাং ০৩/১১/২০২২ ইং ধারা ৩৮০/৪১১ দঃবিঃ। উক্ত মামলা মূলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/ অচিন্ত আধিকারী আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করেন।