সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামের নিরীহ শুক্কুর আলী ও তার সমন্ধিক আসাদ মিয়ার জায়গা একই গ্রামের মোখলেস ও আব্দুল বারিক নামের স্থানীয় দুই ভূমিখেকো কর্তৃক জোরপূর্বক দখল সহ অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে এবং দখলকৃত জায়গা উদ্ধার পূর্বক ভূমি খেকোদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জায়গা হারানো ভুক্তভোগী পরিবার।
এদিকে মানববন্ধন চলাকালে জায়গা দখলকারী ভূমিখেকো আব্দুর বারিকের ছেলে জামাল মিয়া ও মনির হোসেন মানববন্ধনের ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ভুক্তভোগী শুক্কুর আলী ও আসাদ মিয়া তাদের পরিবারের লোকজন সহ মানববন্ধনে উপস্থি লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ মানববন্ধন বন্ধ করতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের মানববন্ধন স্থল থেকে ভূমিখেকো আব্দুর বারিকের ছেলে জামাল মিয়া ও মনির হোসেন সরিয়ে দেয়া হয়।
ভূক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে ওই দুই পরিবারের আয়োজনে আজ (০১ নবেম্বর মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় কয়েক শতাধিক নারীপূরুষের অংশগ্রহনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার চরগাঁও পয়েন্টে।
এ সময় ভূক্তভোগী মো. শুক্কুর আলী ও আসাদ মিয়া বলেন, চরগাঁও গ্রামে তাদের পৈতিক সম্পত্তি রেকর্ডিয় ১৯৭০ খতিয়ানে এবং ২৩৬৮/২৩৬৯/২৩৭০ ও ২৩৬৪ দাগে খরিদাসূত্রে দলিল মূলে মালিক হয়েও পাশের বাড়ির ভূমিখেকো মোকলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিক গংরা পেশীশক্তির জোরে তাদের উপর দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করে বসতভিটার মোট ৮ শতক জায়গা প্রায় একমাস পূর্বে দখল করে নেয়।। হামলাকারীরা তাদের জায়গায় লাগানো বড় বড় ৫টি রেন্টিগাছ ও বাশঁঝাড় কেটে নেয় বলেও জানান। শুধু তাই নয়! এ ঘটনায় উল্টো গত ১৬ই আগষ্ট ভূমিখেকো মোখলেছ বাদি হয়ে ভুক্তভোগী আসাদ মিয়া,আনার মিয়া,আব্দুল মিয়া ও মৃত মিলন মিয়ার ছেলে শুক্কুর আলীকে আসামী করে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিশ্বম্ভরপুর জোনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে স্থানীয়দের সমন্বয়ে এ নিয়ে গত ৩ ও ১১ই সেপ্টেম্বর দুই দফা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের বসে ভূমিখেকো মোকলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিক গং ধারা দখলকৃত ৮ শতক জায়গা ফেরৎ দেয়া ও আপোস নামার মাধ্যমে তাদের দুই পক্ষে ধন্দ মিমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ভূমিখেকো মোকলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিক মিয়া আপোস নামায় স্বাক্ষর না করে উল্টো নিরীহ শুক্কুর আলী ও আসাদ মিয়ার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখা।
ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন আরও জানান, প্রভাবশালী ওই ভূমিখেকোদের অব্যাহত হুমকির ফলে নারীপূরুষ সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে এখন বের হওয়াই দায় হয়ে পরেছে। ওই ভূমিখেকো মোকলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিক গংদের কবল তাদের জায়গা উদ্ধারপুর্বক ভূমিখেকো মোকলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিক গংদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপারের কাছে জোর দাবী জানান।
এ সময় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, চরগাঁও গ্রামের রমজান নেছা, হনুফা আ্ক্তার,আছিয়া বেগম,তুলনা বেগম,মো. আরব আলী,মো. সনু মিয়া,রবি আওয়াল,মো. মানিক মিয়া,এবাব মিয়া,আনোয়ার হোসেন,মো. আবুল মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোখলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জোরপূর্বক বসতভিটা ও জায়গা দখলের বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বম্ভরপুর থানার এস আই শংকর চন্দ্র দেব বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিষয়টি আপোসের প্রস্তাব শুনেছি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে মারামারির মামলার প্রতিবেদন আদালতে পাঠানোর কথা জানান তিনি।