মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রচেষ্টায় সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত এতিম ও প্রতিবন্ধী মেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বেড়ে উঠা দুই কন্যা ‘শাকিলা ও নয়নতারার’ জাঁকজমক ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে বিয়ে হয়েছে। অভিভাবকহীন দুই কন্যার বিয়ের অভিভাবক জেলা প্রশাসক নিজেই।
বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর এই দুই দম্পতির জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজন করে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন। সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত পরিচালিত এতিম ও প্রতিবন্ধী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুই কন্যার বিয়ে হয়। বিয়েতে প্রায় তিনশ মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়।
বিয়ের অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসনের (মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ) সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা আওয়ামীলগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সাইফুর রহমান বাবুলসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই কন্যা শাকিলা ইসলাম ও নয়নতারা। ওদের মধ্যে শাকিলা ইসলামের বিয়ে হয় আল আমিনের সঙ্গে এবং নয়নতারার বিয়ে হয় মো. সাব্বিরের সঙ্গে।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘এরা আমার মেয়ের মত। তাদের বিয়েতে যাতে কোনো ধরনের কমতি না হয়, এজন্য সব আয়োজন করা হয়। দুই মেয়ের অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক অতিথির জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। জেলার সর্বস্তরের মানুষ এ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আমার দুই কন্যার জন্য দোয়া করেছেন।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের দুই কন্যার প্রশিক্ষক মো. শামীমুর রহমান বলেন, ‘দুই তরুণী সিলেট সমাজসেবা পরিচালিত শিশু পরিবার থেকে দুইবছর হলো এখানে এসেছে। নয়নতারা ট্রেইলারিং ও শাকিলা ড্রাইভিং শিখেছে। পাশাপাশি বর আল আমিন টিউবওয়েল মিস্ত্রি এবং সাব্বির সিএনজিচালিত আটোরিকশার চালক।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘একজন পিতা তার কন্যাদের যেভাবে বিয়ে দেন, তেমনি এ কন্যাদের পিতা হিসেবে একজন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মতো আমি তাদের বিয়ে দিচ্ছি। সকল নিয়ম, সকল আনুষ্ঠানিকতায় এ বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুই নবদম্পতিকে এক লক্ষ করে মোট দুই লক্ষ টাকা উপহার দেওয়া হয়েছে।