রাজশাহী জেলার বাগমারায় স্ত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় দায়েরকৃত মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতের নাম সোহেল রানা (৩৭)। সে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছি জাঙ্গালপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে একই উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ঝাড়গ্রাম গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে রিফা বিবির সাথে সোহেল রানার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান রেখে সোহেল রানা তার পাশের গ্রাম দাশপাড়ায় মৃত রেজাউলের স্ত্রীর গোলাপী বিবি (৩৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। ২টি সন্তান রেখে কয়েক বছর পূর্বে রেজাউল মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই সোহেল রানার সাথে চেনাজানা হয় গোলাপীর। সেই সম্পর্কের জের ধরে কিছু দিন পূর্বে তাকে বিয়ে করেন সোহেল রানা।
বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রেখে অন্যত্র বিয়ে করায় সোহেলের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হয় রিফা বিবির। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এতে ক্ষোভে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় রিফা।
রোববার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে রিফার মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে লাঁশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার মরদেহ প্রেরণ করেন। রিফার আত্মহত্যার ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, রিফা বিবির আত্মহত্যার ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।