কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুজিবুর রহমানের নের্তৃত্বে একটি চৌকস টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত সহ সর্বমোট ২২ টি মামলায় পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামি মোঃ হাবু মন্ডল @ হাবলু @ মাহাবুল (৪৫), পিতা-মৃত হানিফ
মন্ডল @ লিয়াকত আলী, সাং-পাকুড়িয়া ভাঙ্গাপাড়া, থানা-দৌলতপুর,
জেলা-কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করে। আসামি হাবু দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক ছিল এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করার কারণে সেখানেও সে ওয়ান্টেড আসামি ছিল। আসামি হাবু ভারতে ধরা পড়ার ভয়ে চুপিসারে নিজ বাড়িতে আসে। সে ভারতে বিয়ে করেছে বলে জানা যায়।
কুষ্টিয়া জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলমের সার্বিক দিকনির্দেশনা মোতাবেক জেলার ৭টি থানায় একযোগে শনিবার ৮ অক্টোবর হতে ১৭ই অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ওয়ারেন্ট তামিল, এজাহার নামীয় আসামি, অন্যান্য আসামি গ্রেফতার এবং মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে কুষ্টিয়া জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ অভিযানের প্রথম দিনেই মাদক, অস্ত্র আইন সহ বিভিন্ন মামলায় ২২ পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামি মোঃ হাবু মন্ডল @ হাবলু @ মাহাবুল (৪৫), কে ৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় দৌলতপুর থানাধীন পাকুড়িয়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়। তিনি সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একজন পেশাদার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পরোয়ানার সংখ্যা ৩টি, অন্য একটি মাদক মামলায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পরোয়ানার সংখ্যা ১টি সহ মাদক মামলায় পরোয়ানার সংখ্যা আরো ১২টি, হত্যা মামলায় পরোয়ানার সংখ্যা ১টি এবং অন্যান্য মামলায় পরোয়ানার সংখ্যা আরো ৫টি।
আসামি মোঃ হাবু মন্ডল @ হাবলু @ মাহাবুল (৪৫), পিতা-মৃত হানিফ
মন্ডল @ লিয়াকত আলী, সাং-পাকুড়িয়া ভাঙ্গাপাড়া, থানা-দৌলতপুর,
জেলা-কুষ্টিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার পরোয়নার তথ্যাদি নিম্নরূপ:
১) মিরপুর থানার মামলা নং-৩, তারিখ- ০৫ নভেম্বর, ২০১৬খ্রিঃ, ধারা- ৩(খ)
১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ; তৎসহ ১৯ (ধ) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন মূলে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত ২) দৌলতপুর থানার মামলা নং-৩৪, তারিখ- ১৩ অক্টোবর, ২০১৮খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর ৭(ক)/২৫/৩(খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মূলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত ৩) দৌলতপুর থানার মামলা নং-৪৬, তারিখ- ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮খ্রিঃ, ধারা-
১৯(১) এর ১ (খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মূলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত ৪) সেশন নং-৩৯১/১৬, ধারা- ১৯(১) এর ১ (খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মূলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত ৫) দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-০৯/০১/২০১৮খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৩ (খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৬) দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৪, তারিখ- ১২/০৩/২০১৬খ্রিঃ, ধারা- ২৫-অ (ই) ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ৭) দৌলতপুর থানার মামলা নং-২০, তারিখ- ২১/১১/২০১৭খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৩ (ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৮) দৌলতপুর থানার মামলা নং-৪৬, তারিখ- ২২/০৯/২০১৮খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
১ (খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৯) দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৭, তারিখ- ০৬/১০/২০১৮খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৩(খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১০) দৌলতপুর থানার মামলা নং-২৭, তারিখ- ০৯/১০/২০১৮খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৭(ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১১) দৌলতপুর থানার মামলা নং-২৪, তারিখ- ০৮/১০/২০১৮খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৩(খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১২) মিরপুর থানার মামলা নং-১৩, তারিখ- ২১/১১/১৭খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৩(খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৩) দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৭, তারিখ- ০৯/১০/২০১৭খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৩(খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৪) পাংশা থানার মামলা নং-০১, তারিখ- ০২/০৮/২০১৫খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৭(খ)/২১/২৫ ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৫) দৌলতপুর থানার মামলা নং-৪০, তারিখ- ২৪/০৫/২০১৪খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর
৩(খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৬) মিরপুর জিআর নং-১১২, তারিখ- ২১/১০/২০১৬খ্রিঃ, ধারা- ১৯(১) এর ৩(ক)
১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৭) দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৯, তারিখ- ১০/১০/২০১৭খ্রিঃ, ধারা – ৩৪২/৩০২/৩৪/১১৪ পেনাল কোড ১৮) দৌলতপুর থানার মামলা নং-২৪, তারিখ- ১৮/০২/২০১৮খ্রিঃ, ধারা ১৪৩/৩৩২/৩৫৩/৩০৭/৩৪ পিসি ১৯) দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৬, তাং- ০৬/১০/২০১৮খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩০৭/৩৪ পেনাল কোড ২০) দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৬, তাং- ০৬/১০/২০১৮খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩০৭/৩৪ পেনাল কোড ২১) কুষ্টিয়া জিআর নং-৭৯/১৬ এবং ২২) সেশন নং-২১৫/১৭
এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলায় চলমান বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ১ জন জিআর ১ জন সিআর ও ৩ জন সিআর সাজাপ্রাপ্তসহ মোট ০৬ জন ওয়ারেন্টভুক্ত, মিরপুর থানা পুলিশ ১ জন সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত, ইবি থানা পুলিশ ১ জন সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত ও ২০ গ্রাম গাঁজাসহ ০৩ জন আসামি, দৌলতপুর থানা পুলিশ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ০১ জন জিআর ওয়ারেন্ট ভুক্তসহ সর্বমোট ১২ জন আসামী এবং কুমারখালী থানা ১ জন সাজা ওয়ারেন্টের আসামি, ১৩ জন অন্যান্য ওয়ারেন্টের আসামি ও ২ জন নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার করে।
কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম এর নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে জেলা পুলিশ নিয়মিত পুলিশি অভিযান, চেকপোস্ট ও পিকেট ডিউটিসহ সার্বক্ষনিক টহল ডিউটির কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল আছে। এছাড়াও অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে যেকোন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ এবং সাধারণ মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে রাতের বেলা ঘুমাতে পারে সে লক্ষ্যে সর্বদা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম ৭টি থানায় পৃথকভাবে ওপেন হাউজ ডে, বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং ও আইন-শৃঙ্খলা জনিত সভায় জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করাসহ গণসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য অফিসের ইনচার্জ ও বিট অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন। কুষ্টিয়া জেলায় বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশী সেবা পৌঁছে দেয়া সহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট কর্তৃক আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল ও ডকুমেন্টারি এভিডেন্স সংগ্রহ করে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।