র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার চাকলাপাড়া এলাকায় জমিজমা বন্টনের বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ৪ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাত আনুমানিক১২ টা ৩০ মিনিটের সময় আসামী সুরেশ দাস ও তার সহযোগী অন্যান্য আসামীদের সাথে ভিকটিম সুবীর দাসের পিতা সত্যপদ দাসের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আসামী সুনীল দাস তার হাতে থাকা সেভেন গিয়ার চাকু দিয়ে ভিকটিম সুবীর দাসের পিঠে আঘাত করে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পরলে আসামীরা ভিকটিমকে এলোপাথারী আঘাত করে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। তখন আসামীরা ভিকটিমের পিতা, মাতা ও চাচাকেও চাকু দ্বারা এলোপাথারী আঘাত করে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমসহ অন্যান্য আহতদের চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম সুবীর দাসকে মৃত ঘোষনা করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৪ অক্টোবর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যা মামলার আসামীরা ঝিনাইদহ জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হাটগোপালপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামী ১। সুরেশ দাস, ২। শিপন, উভয় সাং-চাকলাপাড়া, থানা-ঝিনাইদহ সদর, জেলা-ঝিনাইদহদ্বয়কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।