সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, ছিন্নমূল,অসহায়,অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন আমজাদ হোসেন।তিনি তার পরিশ্রম,সাহস,ইচ্ছে শক্তি একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে অতি সাধারণ মানুষের জন্য উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আমজাদ হোসেন-পিতা- মরহুম আফাজ উদ্দিন।
শিক্ষা জীবন:
মাধ্যমিক জ্ঞানাংকুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,পরে উত্তর বঙ্গের অন্যতম বিদ্যাপীঠ রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
স্বাচ্ছন্দ জীবনযাপনে তিনি বড় চাকুরীজীবি হতে পারতেন।টাকার মেশিন হতে চাইলে ঠিকাদারি বা ব্যবসার সুযোগ পোয়েও তিনি করেননি ।তিনি বরাবরই বিলাসী জীবন পায়ে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি সুখে থাকার চিন্তা বাদ দিয়ে এই দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেছেন সবসময়।
আশির দশকে কারমাইকেল কলেজে ভালো মানের শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনা করতেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,তার সহপাঠীরা দেশের বড়-বড় জায়গায় চাকরি করে অবসরে গেছেন।অনেকেই ঠিকাদারি ও ব্যাবসা করে অঢেল টাকার মালিক বনে গেছেন।তিনি
(আমজাদ হোসেন)মেধায় তাদের চেয়ে কম ছিলেন না।অথচ,সে পথে তিনি হাটেননি।তিনি পেশা হিসেবে সমাজসেবাকেই বেছে নিয়েছেন।
পার্বতীপুরে সবখানেই তার ছোঁয়া।এই মানুষটি এই অঞ্চলের ফুটবল,ক্রিকেট ও অন্যান্য গ্রামীণ খেলাকে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে এগিয়ে নিতেও রয়েছে তার জোরালো ভুমিকা।জ্ঞান বিস্তারে এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেছেন বৃহৎ একটি পাঠাগার।
সমাজসেবা করতে গিয়ে আজ অব্দি শহরে একটি বাড়ি বানাতে পারেননি। থাকেন ভাড়া বাড়িতে।নিজের নেই একটি গাড়ি।নেই কোন ব্যাংক-ব্যালেন্স।জীবনযাপন করেন অতি সাধারণ।চলাফেরা করেন বাইকে,চার্জার ভ্যানে,কখনো বা অটো চার্জারে।তিনি ইতোমধ্যেই যৌবনকাল ও মধ্যবয়স-সাধারণ মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন।এখন শেষ বেলা!এই সময়ে এসেও থেমে নেই তার সমাজসেবা। সমাজসেবা যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে।খুব সকাল থেকে গভীর রাত্রি অবধি সাধারণ মানুষ ফোনে পায় এই মানুষটিকে।তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন না কখনো। তার পাঠাগার বা ক্লাবে কোন অসহায় মানুষ সেবা নিতে এসে ঘুরে গেছে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।সদা হাস্যজ্জল এই কর্মমুখী মানুষটির মধ্যে নেই অলসতা।নেই অহংকার।
তিনি বিভিন্ন দুর্যোগেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।কি ঝড়,কি বন্যা, করোনা মহামারী;থেমে নেই তার দুর্বার গতিতে পথচলা।
সমাজে একশ্রেণীর মানুষ রয়েছেন যারা কুরবানী দিতে পারেন না।আবার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে গোস্ত সংগ্রহ করতেও যেতে পারেন না।এমন পরিবার গুলির জন্য তিনি প্রতিবছর 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা ব্যয়ে কুরবানী দিয়ে সেই গোস্ত গুলি সেইসব পরিবারের পৌঁছে দিয়ে তাদের সাথেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেও দেখা গেছে।অসহায় ছিন্নমূল মানুষ যারা পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে ভালো ইফতার করতে পারেন না তাদের জন্য প্রতিবছর ভালো মানের ইফতারি আয়োজন করে থাকেন এই মানবিক মানুষটি।শোনা গেছে,তাদের সাথে বসে ইফতার করতে তিনি নাকি ভীষণ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।পার্বতীপুরের বিভিন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান সবার আগে।করোনা মহামারীতেও এই অঞ্চলের হাজার-হাজার মানুষকে খাবারের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন তিনি।অত্র এলাকায় একাধিক কন্যা দায়গ্রস্থ পিতার পাশেও দাঁড়াতে দেখা গেছে এই গুণী মানুষটিকে।
যে মানুষটি জনপ্রতিনিধি না হয়েও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, ছিন্নমূল,অসহায়,অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের জন্য জীবনের বেশিরভাগ সময় বিলিয়ে দিতে পারে সেই মহান মানুষটি কি একটি চেয়ার পার্বতীপুর পৌর বাসির নিকট দাবি করতে পারেন না ? বা পাওয়ার অধিকার রাখেন না? পার্বতীপুর পৌরবাসীর সম্মানিত নাগরিকদের নিকট প্রশ্ন রেখে গেলাম।
এ জাতীয় আরো খবর ....