নড়াইলে তৃণমূল পর্যায়ের শিশুদের চিত্তবিকাশে শারদীয় দূর্গোৎসবের সপ্তমী পূজায় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আজ রোববার দুপুরে নড়াইল সদর উপজেলার আগদিয়ারচর সনাতন মন্দির ও মহাশ্মশান চত্বরে দূর্গা পূজা উদযাপন পর্ষদ এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
অংশ গ্রহণকারী ১৫০ জন প্রতিযোগিদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। প্রতিযোগিরা নানা ধরণের ছবি একে উপস্থিত কয়েক.শ দর্শক শ্রোতাদের তাক লাগিয়ে দেয়। শিশুরা দেবী দূর্গা,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, গ্রামীণ দৃশ্যসহ নানা ধরণের ছবি আকে। অঙ্কিত ছবিগুলো পূজা দেখতে আসা ভক্তবৃন্দদের জন্য মন্দির চত্বরের সামনে কাপড়ের ব্যানারের সঙ্গে রাখা হয়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হন।
পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্দির কমিটির সভাপতি বিদ্যৃৎ স্যান্নাল। প্রধান অতিথি ছিলেন,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চিত্রশিল্পী বিমানেষ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক সুকুমার বিশ্বাস,কলোড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য উৎপল বাগচী, রাজিব বিশ্বাস প্রমুখ।প্রধান অতিথি চিত্রশিল্পী বিমানেষ বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন,একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে বিশাল বিশাল ছবি আকা যায়। যেটা আমাদের শিখিয়েছেন বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস,এম সুলতান। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে চাকুরি জীবন থেকে অবসর নেবার পর আমি সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত শিশুদের মধ্যে শিল্পত্বোবোধ সৃস্টির লক্ষে কাজ করে চলেছি। তিনি বলেন,জেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এই সনাতন মন্দির চত্বরে শিশুদের ছবি আকা শেখার সুযোগ এবং তাদের মধ্যে দেবী দূর্গার আগমনে এই সপ্তমী পূজায় প্রতিযোগিতার আয়োজনকরায় আমি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন,নেড়াইল থেকে দুই হাজার ফুট শিশু শিল্পীদের আকা চিত্রকর্ম ঢঅকাতে পাঠানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন,বিশ্বে এটি প্রথম শিশুদের চিত্রকর্ম।