দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রিয়া (১৯)কে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত স্বামী লুৎফর রহমান হিরুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আটককৃত লুৎফর উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে পারিবারিক ভাবে লুৎফর রহমানের সাথে রিয়ার বিয়ে হয়। তাদের এক বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিবাহের কিছু দিন পর থেকেই রিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসতেছে। এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ দুপুর ১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রিয়া মৃত্যু বরণ করেছে বলে লুৎফর মোবাইল ফোনে তার বাবাকে জানায়। নিহতের পরিবারের ধারণা হাসপাতালে আনার আগেই বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিজেদেরকে বঁাচানোর উদ্দেশ্যে নাগরী-সাগরী গ্রামের মৃত ইমদাদুল হকের ছেলে মমিনুল ইসলামের পরামর্শে বিষপানের নাটক সাজিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে সন্দেহ হলে তার বাবা জবাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে মেয়ের স্বামী লুৎফর, তার মা লতিফা বেগম, বোন লাকি আক্তার ও ভাই হাবিবুর রহমানকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার নং ৩৩, তারিখ ২৭/০৯/২০২২ইং। কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আজাদ রহমান জানান, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার স্বামী বিষ খাওয়ার কথা বললেও এমন কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি। তাই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য ময়নাতদন্তের সুপারিশ করে বিষয়টি বীরগঞ্জ থানাকে জানানো হয়। বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত সরকার জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের স্বামী লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।